বিএনএ, নেত্রকোনা : স্বামী পৌরসভার মেয়র। তার দুই স্ত্রী অবতীর্ণ হয়েছেন পরস্পরের বিরুদ্ধে ভোটের লড়াইয়ে। আর এই দৃশ্য নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার। ভোটে কে জিতবে এই প্রশ্নকে সামনে রেখে সাধারণের মাঝে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। হাট-বাজার আর আনাচে-কানাচের স্টলগুলোতে চায়ের কাপে বইছে ঝড়।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, আগামী ১৭ অক্টোবর নেত্রকোনা জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে জেলার এক নম্বর ওয়ার্ডে (দুর্গাপুর উপজেলা) সাধারণ সদস্যপদের জন্য চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। তাদের মধ্যে দুইজন নারী। তারা হলেন পৌর সভার মেয়র আলা-উদ্দীন আলালের দুই স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও সুরমী আক্তার সুমী। তালা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আনোয়ারা। সুমী লড়ছেন অটোরিক্সা নিয়ে। নির্বাচনে শুধুমাত্র স্থানীয় সরকার বিভাগের জন প্রতিনিধিদেরই ভোটাধীকার প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। সাধারণ মানুষের ভোটাধীকার না থাকলেও দুই সতীনের নির্বাচনের ব্যাপারে বেশ কৌতুহলী হয়ে উঠেছেন তারা।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতার ব্যাপারে আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আলাল তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন। আর আমি আলাদা থাকি। তার স্ত্রী হিসেবে আমিও দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু আমি যখনই কোনো পদ-পদবিতে যেতে চাই তখনই অপর পক্ষ থেকে বাধা আসে। ’‘আমারও কর্মী-সমর্থক আছেন। তারা আমাকে জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে দেখতে চান। তাদের আহ্বানে আমি প্রার্থী হয়েছি।’
সুরমী আক্তার সুমি জানান, ‘আমার নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার স্বামী অনেক আগে থেকেই কাজ করে আসছিলেন। স্বামীসহ পারিবারিক সিদ্ধান্তেই আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। স্বামীর সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশে তার প্রতিপক্ষ আনোয়ারা বেগমকে প্রার্থী করেছে।
সুমি আরও বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ। তাকে নিয়ে হাসপাতালে আছি। এ মুহূর্তে তার সুস্থতাই আমার কাছে বড় বিষয়। আর ওদিকে আমার স্বামীর পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি সব আত্মীয়-স্বজন ও পৌর পরিষদের কাউন্সিলরা আমার পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। ভোটারগণও আমার সম্পর্কে ও স্বামী আলালের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অবগত আছেন। আশা করি তারা আমাকে নির্বাচিত করবেন।’
বিএনএ/ফেরদৌস, এমএফ