বিএনএ কক্সবাজার: কক্সবাজারের উখিয়ায় আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় আরও দুইজনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (১ অক্টোবর) মধ্যরাতে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন)’র সদস্যরা। আটককৃতরা হলেন, জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালাম। তাদেরকে উখিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার (২ অক্টোবর) বিষযটি নিশ্চিত করেছেন ক্যাম্প নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ১৪ এপিবিএন’র পুলিশ সুপার নাঈমুল হক।
এর আগে মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে সেলিম নামে এক রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করা হয়। এ নিয়ে মুহিব্বুল্লাহ হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত তিন সন্দেহভাজনকে আটক করা হলো।
১৪ এপিবিএন এর অধিনায়ক বলেন, মুহিব্বুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জেলা পুলিশ ও এপিবিএন এর টহল বাড়ানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের পর গত বৃহস্পতিবার রাতে উখিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন মুহিবুল্লাহর ভাই হাবিবউল্লাহ। এতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
২৯ সেপ্টেম্বর রাতে আলোচিত এই রোহিঙ্গা নেতা খুন হন। অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা তার ওপর গুলি চালায়। যার তিনটি তার শরীরে লাগে।
স্বজনরা জানিয়েছেন, মুখে কাপড় বাঁধা থাকলেও খুনে অংশ নেয়া বেশ কয়েকজনকে চেনা গেছে। এ ঘটনার জন্য রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসাকে দায়ী করেন তারা।
মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দাবি আদায়ে কাজ করছিলেন মুহিবুল্লাহ। ২০১৯ সালে কুতুপালং শিবিরে রোহিঙ্গাদের বিশাল সমাবেশ করে আলোচনায় আসেন তিনি। রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধি হিসেবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও দেখা করেন মহিবুল্লাহ। সফর করেন সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বিএনএনিউজ/আরকেসি