বিএনএ ঢাকা: স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস নিয়ে আওয়ামী লীগ জাতিকে বিভ্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্বাধীনতা যুদ্ধে আওয়ামী লীগের কোন অবদান নেই-মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাদের অবদানই হচ্ছে পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করা।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, তারা দেশের স্বাধীনতাকে কলঙ্কিত এবং গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আজকে সরকার সব কাজ করছে। ব্যর্থতা ঢাকতে সরকার পরিকল্পিতভাবে জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে ইস্যু তৈরি করছে। ক্ষমতাসীনরা খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমানকে ভয় পায় বলে বানোয়াট কথা বলছে বলে দাবি করেন তিনি।
নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে এবং এদেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে দূর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আওয়ামী লীগের সরকারের পতন ঘটাতে হবে সবাইকে প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে আটক করে রেখেছে। জিয়াউর রহমানের শাহাদাতের পর অনেকে মনে করেছিলো যে, বিএনপি বোধ হয় শেষ হয়ে গেছে, আর জেগে উঠবে না। কিন্তু খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে। ৯ বছর তিনি পথে-প্রান্তরে চারণ কবির মতো গণতন্ত্রের গান গেয়ে দেশকে মুক্ত করেছেন। আজকেও আত্বীয়-স্বজন ত্যাগ করে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি কারা অন্তরীণ হয়ে আছেন বলে জানান বিএনপির মহাসচিব।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর শাহজাহান ওমর বীরোত্তম, অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুব দলের সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকনসহ আরও অনেকে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি
