25 C
আবহাওয়া
৬:১৪ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » টিকায় অঢেল অর্থ কুড়াচ্ছে ফাইজার মডার্না

টিকায় অঢেল অর্থ কুড়াচ্ছে ফাইজার মডার্না

টিকা

বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক, ঢাকা: প্রতিনিয়তই ধরণ পাল্টে নতুন রূপে আবির্ভূত হচ্ছে করোনাভাইরাস। নিত্যনতুন ধরন বা স্ট্রেইনে মানুষ হয়ে পড়ছে দ্বিধান্বিত। আর তাই সুরক্ষার জন্য বিশ্বজুড়ে করোনা টিকাদান কর্মসূচি চলছে। আর বেশির ভাগ দেশই তাদের নাগরিকদের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিনামূল্যে এসব টিকা বিতরণ করছে। তবে ওষুধ কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে নগদ টাকা দিয়েই দেশগুলোকে টিকা কিনতে হচ্ছে। আর ভারতে খোলাবাজারেও বিক্রি হচ্ছে করোনা ভ্যাকসিন বা টিকা। তবে বাংলাদেশে এখনো খোলাবাজারে করোনা ভ্যাকসিন বা টিকা বিক্রি শুরু হয়নি।

দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে ফাইজারের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য,কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ। এটিকে বিজ্ঞান, অর্থনীতি, সর্বোপরি মানবতার পক্ষে অনেক বড় ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমন মাইলফলকে দাঁড়িয়ে কোষাগারে অঢেল অর্থের স্বপ্ন দেখতেই পারেন টিকা উৎপাদকরা। সুখবর তাদের জন্য, সেই স্বপ্ন এবার সত্যি হতে চলেছে।

ওয়াল স্ট্রিটের বিশ্লেষকদের ধারণা, আগামী বছর শুধু করোনা ভ্যাকসিন বেচেই ২ লাখ ৭২ হাজার কোটি টাকা (৩ হাজার ২০০ কোটি বা ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) আয় করবে যুক্তরাষ্ট্রের দুই ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার ও মডার্না। ২০২১ সালে ফার্মা জয়ান্ট ফাইজার একাই আয় করবে অন্তত ১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ বিশ্বের টিকার বাজার ৭ হাজার কোটি ডলার পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। এই ভ্যারিয়েন্টের কারণে টিকার বুস্টার ডোজের প্রয়োজন পড়বে কিনা সে ব্যাপারে বিজ্ঞানীদের মধ্যে ইতোমধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

তারা পূর্বাভাস দিয়েছে, চলতি বছর ভ্যাকসিন থেকে তাদের আয় হবে ১ হাজার ৯২০ কোটি ডলার। তবে ডেল্টার কারণে তাদের এই আয়ের পরিমাণ আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। টাকার পাহাড় গড়ছে আরেক মার্কিন কোম্পানি ফাইজারও। গত ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত সংস্থাটি ১০০ কোটি ডোজ টিকা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করেছে। এখন পর্যন্ত সব লভ্যাংশ বায়োনটেকের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিয়েছে ফাইজার। জার্মানির কোম্পানি বায়োনটেকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে টিকা তৈরি করেছেন তারা।

চলতি বছর ফাইজার আগের চেয়ে অনেক বেশি টিকা করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ৩০০ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তারা। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে দুই ডোজ ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। আর ডোজপ্রতি নেওয়া হচ্ছে ৩০ ডলার।

তবে ব্রিটিশ ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা আর যুক্তরাষ্ট্রের জনসন অ্যান্ড জনসন বলছে, মহামারি চলাকালে টিকা বিক্রিতে কোনো মুনাফা করবে না । ফাইজার ও মডার্নার চেয়ে কয়েকগুণ কম মূল্যে টিকা বিক্রি করছে এই দুই কোম্পানি। দুই ডোজ মিলিয়ে ৪.৩০ ডলার থেকে ১০ ডলার নিচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। বিপরীতে এক ডোজে ১০ ডলার নিচ্ছে জনসন অ্যান্ড জনসন।

এরপরও চলতি বছরের প্রথমার্ধে অ্যাস্ট্রাজেনেকার আয় হয়েছে ১২০ কোটি ডলার। এটিও করোনার প্রথম অনুমোদিত ভ্যাকসিন, এখন সরবরাহ করা হচ্ছে সারাবিশ্বে। গত সপ্তাহে জনসন অ্যান্ড জনসন জানিয়েছে, এ বছর ২৫০ কোটি ডলারের করোনা প্রতিরোধী টিকা বিক্রি করবে তারা। একই সময়ে মডার্নার লক্ষ্য-১ হাজার ৯২০ কোটি ডলারের টিকা বিক্রি।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে টিকা থেকে ১ হাজার ১৩০ কোটি ডলার মুনাফা করেছে ফাইজার। গেল সপ্তাহেই পূর্বাভাস দিয়েছে চলতি বছর ৩ হাজার ৩৫০ কোটি ডলারের টিকি বিক্রি করবে তারা। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ফাইজারের টিকা বিক্রি ৮৬ শতাংশ বেড়েছে।

বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ