বিএনএ, ববি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) সার্বজনীন পেনশন স্কিমে চলমান আন্দোলনের অবস্থান নিয়ে কর্মকর্তাদের দু’টি গ্রুপের মধ্য দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় গ্রুপের মধ্যে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৯ টায় ও বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ডফ্লোরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সকাল ৯ টায় ডিরেক্ট অফিসার্স এসোসিয়েশন নিজস্ব ব্যানারে অবস্থান নিলে অফিসার্স এসোসিয়েশনের কতিপয় সদস্য তাদের ব্যানার ছিড়ে ফেলেন এবং দু’পক্ষের মধ্য বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।
এর পরে বেলা সাড়ে ১১টায় ডিরেক্ট অফিসার্স এসোসিয়েশন নতুন ব্যানার নিয়ে অবস্থান নিলে কয়েক মিনিটের মধ্যই অফিসার্স এসোসিয়েশনের সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান তাদের ওপরে হামলা করেন ও ব্যানার ছিড়ে ফেলার চেষ্টা করেন। এর পরে উভয় পক্ষের কর্মকর্তাদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষের ৫ জন করে মোট ১০ জন আহত হয়।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ শান্ত আছে বলে দাবি করেছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
আহতরা হলেন ডিরেক্ট অফিসার্স এসোসিয়েশনের সদস্য ও পরিকল্পনা দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর আবু হাসান, প্রকৌশল দপ্তরের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মুরশীদ আবেদীন, অর্থদপ্তরের ডেপুটি একাউন্টস অফিসার ইকবাল মিঞা এবং সহকারী রেজিস্টার আনোয়ার সাদাত ও রফিক সেরনিয়াবাত। অন্যদিকে অফিসার্স এসোসিয়েশনের সদস্য ও সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. তানজিম হাসান, সহকারী রেজিস্ট্রার তৌসিকুল ইসলাম রাহাত, সেকশন অফিসার মাহমুদুল হাসান, মিজানুর রহমান ও আবু সায়েম। আহতরা শেরে বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।
আহত ইকবাল মিঞা বলেন, আমরা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে আজকের অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলাম এর এক পর্যায়ে অফিসার্স এসোসিয়েশনের কিছু সদস্য আমাদের ওপরে হামলা করেন। আমাকে মেরে হাত ফাটিয়ে দিয়েছেন জনসংযোগ দপ্তরের কর্মকর্তা জুয়েল মৃধা। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ডেপুটি রেজিস্ট্রার বাহাউদ্দীন গোলাপ বলেন, পেনশন স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করায় যৌক্তিক দাবি নিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। এই কর্মসূচিকে বিতর্কিত করতেই ডিরেক্ট অফিসার্স এসোসিয়েশনের নামে একটি অনুমোদনহীন সংগঠন হঠাৎ আজকে ব্যানার নিয়ে আলাদাভাবে অবস্থান নেয়। এতেই আজকের এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি কর্মকর্তাদের দু’গ্রুপের মধ্য হাতাহাতির কথা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত করি। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিবে এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
বিএনএ/ রবিউল, এমএফ/ হাসনা