স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ২০১৯ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার বিজেসি সাংবাদিকদের পেশাগত মানোন্নয়ন, সুরক্ষা ও কর্মপরিবেশের উন্নয়নে কাজ করে তাদের সুন্দর অবস্থান নিশ্চিত করতে পেরেছে। ‘জনস্বার্থে সাংবাদিকতা-সংবাদকর্মীর সুরক্ষা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজকের এ আয়োজন প্রশংসনীয়। এটি এমন একটি প্লাটফর্ম যা সদস্যদের কল্যাণ সাধন, দক্ষতা বৃদ্ধি, ঝুঁকি মোকাবিলা, কর্মক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি, গবেষণামূলক কাজে সাংবাদিকদের উৎসাহিত করাসহ নানামুখী কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এক্ষেত্রে, পাঁচ ক্যাটাগরিতে বিজেসি এওয়ার্ড প্রদান গনমাধ্যমকর্মীদের জনস্বার্থমূলক কাজে অনুপ্রাণিত করবে।
স্পিকার শনিবার(২ জুলাই) ঢাকায় বাংলা একাডেমি আয়োজিত বিজেসি’র তৃতীয় সম্প্রচার সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
স্পিকার বলেন, তথ্য প্রবাহের অবাধ ও সুবর্ণ সময় বাংলাদেশ অতিক্রম করছে। দেশে গণমাধ্যমের কার্যপরিধি এখন অনেক বিস্তৃত। দৈনন্দিন জীবনের সাথে গণমাধ্যম অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ডিজিটাল সুবিধা ও ইন্টারনেটের অবাধ প্রসারের কারণে সংবাদ জগতের সাথে সার্বক্ষণিক যুক্ত থাকতে হয়। ব্রডকাস্ট তথা সম্প্রচারের মাধ্যমে বিশ্বের ঘটনাপ্রবাহ সকলে ঘরে বসে দেখতে পাচ্ছেন। বিশাল কর্মযজ্ঞকে সামনে রেখে জার্নালিস্ট সেন্টার ট্রাস্টি বোর্ডও গঠিত হয়েছে, যা গনমাধ্যমের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিকবান্ধব নীতি, ওয়েজবোর্ড গঠনসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গণমাধ্যমকর্মীদের কর্মক্ষেত্রে সুন্দর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। গণতন্ত্র চর্চা ও বিকাশের সাথে সংবাদ পরিবেশন ও মিডিয়ার নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। তাই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিজেসি’র সভাপতি রেজোয়ানুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ বক্তব্য রাখেন।