বিএনএ ডেস্ক : বাংলাদেশের পদ্মা সেতু নিয়ে প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশ্লেষক ড. মালিকা-ই-আবিদা খাত্তাক। দেশটির জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি টাইমস’ এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশের বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু একটি স্বপ্নের প্রকল্প। এ মাসের ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০ টায় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সেতুটি উদ্বোধন করবেন।
ড. মালিকা-ই-আবিদা খাত্তাক লেখেন ,দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার যাত্রীরা বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ফেরি দিয়ে পদ্মা নদী পার হয়। দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রী ও চালকদের। চালু হলে, এটি হবে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সেতু এবং সড়ক চলাচলের জন্য প্রথম নির্দিষ্ট নদী পারাপার। দ্বি-স্তরের ইস্পাত ট্রাস সেতুটি উপরের স্তরে একটি চার লেনের মহাসড়ক এবং নিচের স্তরে একটি একক-ট্র্যাক রেলপথ বহন করবে।
দক্ষিণাঞ্চলের লাখো মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু আগামী মাসে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এর ফলে মানুষের দুর্ভোগের অবসান ঘটবে। এই বহুমুখী সেতু বাংলাদেশের একটি স্বপ্নের প্রকল্প। মুন্সিগঞ্জের মাওয়া পয়েন্ট এবং শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টকে সংযুক্ত করবে; যা যাত্রী ও মালবাহী যানবাহনের জন্য যাত্রা সহজ এবং ক্রমান্বয়ে দেশের জিডিপি ১ দশমিক ৩ থেকে ২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করবে।
শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের স্বাক্ষর বহন করে পদ্মাসেতু উল্লেখ করে তিনি নিবন্ধে বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশের সক্ষমতা আরও একবার জানার সুযোগ পেল বিশ্ব। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যারা বারবার তাদের সক্ষমতা দেখিয়েছে। পদ্মা সেতুর কাজ প্রায় শেষের দিকে। বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগে প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করে এবং অন্যান্য দাতারা তা অনুসরণ করে। সেতুর ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে এবং পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। বিশ্বব্যাংক ও দাতারা মুখ ফিরিয়ে নেয়। তখন সমালোচকরা হাসিতে ফেটে পড়েন। শেখ হাসিনার পক্ষে পদ্মা সেতু করা সম্ভব হবে না বলে বিরূপ মন্তব্যের ঝড় তোলে তারা।
এই সেতুটি রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং সামাজিক বিভিন্ন ঘটনার সাথে গভীরভাবে সংশ্লিষ্ট। সেতুটির নির্মাণ বাংলাদেশের জন্য বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ ছিল। সেতুটি চালু হলে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে, বদলে যাবে অর্থনীতির কাঠামো।
বিএনএ/ ওজি