বিএনএ, ঢাকা: এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্যই আওয়ামী লীগের জন্ম হয়। আওয়ামী লীগ সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে আর বিএনপি মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় থাইল্যান্ড সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধপরিস্থিতি, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও মিয়ানমার প্রসঙ্গ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের এই বিষয়টি নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। বর্তমান যে পরিস্থিতি সেখানে চলছে সেটা নিয়ে থাইল্যান্ডও বেশ উদ্বিগ্ন। তবুও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের চেষ্টা চলবে- এটুকু আশ্বাস থাই প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। ফিলিস্তিনে অব্যাহত গণহত্যা, মিয়ানমারে চলমান সংঘাত, রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসন ও বিশ্বে চলমান সংঘাত বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছি। মিয়ানমার থেকে রিফিউজি হিসেবে আমাদের এখানে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে আমরা আলোচনা করেছি। মিয়ানমারের ওপর থাইল্যান্ডের একটা প্রভাব আছে। সেক্ষেত্রে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি এটা আরও গভীরভাবে দেখবেন। প্রত্যাবর্তনের যতটা সহযোগিতা দরকার সেটা তিনি করবেন। এ ব্যাপারে তিনি কথা দিয়েছেন। মিয়ানমারের এই বিষয়টি নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। বর্তমান যে পরিস্থিতি চলছে সেটা নিয়ে থাইল্যান্ডও বেশ উদ্বিগ্ন। তবুও এটা চেষ্টা চলবে, এটুকু আশ্বাস দিয়েছেন।
থাইল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আলোচনার ক্ষেত্রে দেশের সার্বিক উন্নতি বিশেষ করে এসডিজি অর্জনের বিষয়টি এসেছে। পাশাপাশি আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, বিশেষ করে যোগাযোগটা বেশি প্রয়োজন। সেদিক থেকে থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের আলোচনাটা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে হয়েছে। তাছাড়া ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য আহ্বান করেছি। আমরা হাইটেক পার্ক ও অর্থনৈতিক জোনে তাদের জায়গা দেবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষকে সচেতন হতে হবে। মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ সকল স্থাপনা ব্যবহারে রক্ষণাবেক্ষণ করা, যত্ন করা জনগণের দায়িত্ব। নিজেদের স্থাপনা নিয়ে আরও যত্নবান হতে হবে। ঢাকায় সবাইকে থাকতে হবে না, উপশহরে থেকে সকল কাজ করা যাবে এমন পরিকল্পনায় কাজ চলছে। দেশের বামপন্থি রাজনীতিবিদরা নব্বই ডিগ্রি ঘুরে গেছে। আমাদের এখানে বামপন্থিরা আন্দোলন করছে। আমি বলে দিয়েছি, তারা আন্দোলন করছে, করুক। অথচ আমি চাইলে আমেরিকার স্টাইলে পুলিশ দিয়ে আন্দোলন থামিয়ে দিতে পারি। অতি বামদের কাছে আমার প্রশ্ন, তারা আমাকে উৎখাত করে কাকে ক্ষমতায় আনবে- তারা কি একবার এটা ভেবে দেখেছে? আর আমার অপরাধটা কী?
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, গত বছর ২৮ অক্টোবর আমাদের দেশে আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ হয়েছে, ভাংচুর হয়েছে। আমাদের পুলিশ এগুলো ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে। আওয়ামী লীগ কোনো মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে বের হয়নি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ। এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্যই আওয়ামী লীগের জন্ম হয়। আওয়ামী লীগ সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে আর বিএনপি মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়। আমাদের কথা হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন যেন প্রভাবমুক্ত হয়। মানুষ যেন স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে। এটাই আমাদের লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, অনেকগুলো রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে। বর্জন করে কেন? নির্বাচন করার মতো সক্ষমতাই নাই। পার্লামেন্ট নির্বাচন করতে হলে জাতিকে দেখাতে হবে যে পরবর্তী নেতৃত্বে কে আসবে, প্রধানমন্ত্রী কে হবে, নেতা কে হবে? একটা নেতা দেখাতে হবে। আপনার কাছে উপযুক্ত নেতা না থাকলে তখন তো আপনাকে ছুতা খুঁজতে হয়। নির্বাচন করলাম না, বিরাট ব্যাপার দেখালাম। আমাদের দেশে সেটাই হচ্ছে।
বিএনএনিউজ/ রেহানা/ বিএম/হাসনা