বিএনএ,কক্সবাজার:প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে মহামারি করো নাভাইরাস সংক্রমণ। ইতোমধ্যে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে ভাইরাসটি। হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। প্রতিদিন ছাড়াচ্ছে রেকর্ড; বাড়ছে মৃত্যুও। ফলে এখনই সতর্ক না হলে, পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার শঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এ অবস্থায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সমুদ্র সৈকতসহ কক্সবাজারের সব পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামি ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এ ঘোষণা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাইড লাইন মেনে হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে।
বৃহস্পতিবার(১ এপ্রিল) রাতে সংবাদ মাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ।
তিনি জানান, দেশে করোনা সংক্রমণের হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে একটি নির্দেশনা এসেছে। এতে হোটেল-মোটেলসহ কক্সবাজারের সকল পর্যটন কেন্দ্রগুলো ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।সরকারের নির্দেশনা মতো ব্যবস্থা নিতে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর যে বা যারা নির্দেশনা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেলগুলো খোলা থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
এদিকে, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনার পর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনাসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নজরদারি রাখতে টহলও জোরদার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন,মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পাওয়ার পরপরই ট্যুরিস্ট পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। ঘুরতে আসা পর্যটকদের সৈকতে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি সৈকতের বিনোদন ছাতা (কিটকট), বিচ-বাইক ও জেটস্কিসহ সব ধরনের পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে করোনা মহামারির কারণে গত বছর ১৮ মার্চ থেকে কক্সবাজারের সকল পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছিল প্রশাসন। পরবর্তীতে গত বছর ১৭ আগস্ট থেকে স্বাস্থ্যবিধিসহ নানা নির্দেশনা মানার শর্তে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছিল।
বিএনএনিউজ/আরকেসি