বিশ্বডেস্ক: ইসরায়েলের আর্মি রেডিও জানিয়েছে, দেশটির শীর্ষ সামরিক আইনজীবী মেজর-জেনারেল ইয়ারন ফিঙ্কেলম্যানকে একটি “কঠোর” চিঠি পাঠিয়েছেন, যেখানে গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযানের সময় বেসামরিক জনসংখ্যার আকার যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না বলে সতর্ক করা হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
সামরিক অ্যাডভোকেট জেনারেল ইয়িফাত টোমার-ইয়েরুশালমির পাঠানো এই চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে যে এই ব্যর্থতা “নির্দিষ্ট এলাকায় মানবিক সহায়তার পরিধি এবং বিমান হামলার সময় বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতির (যাকে ‘অনিচ্ছাকৃত ক্ষতি’ বলা হয়) হিসাব-নিকাশে প্রভাব ফেলছে।”
সাংবাদিক ডোরন কাদোশ জানান, টোমার-ইয়েরুশালমির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে ৬ অক্টোবর থেকে উত্তর গাজার ওপর অবরোধের মধ্যে থাকা সামরিক বাহিনী প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিল বেইত লাহিয়ায় মাত্র ৩,০০০ বেসামরিক লোক বাস করছে। পরে দেখা যায়, সেখানে প্রায় ১৪,০০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে অবস্থান করছে।
এই চিঠি একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তের সূচনা করে। তবে তদন্তে দাবি করা হয় যে বেইত লাহিয়ায় প্রবেশ করা মানবিক সহায়তার পরিমাণে কোনো ঘাটতি ছিল না এবং ওই এলাকায় সামরিক হামলায় বেসামরিক জনগণের ওপর অস্বাভাবিক কোনো ক্ষতি হয়নি।
তবে জাতিসংঘ এবং গাজায় কাজ করা অন্যান্য সহায়তা সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন এই তদন্তের ফলাফলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
উত্তর গাজা এবং বেইত লাহিয়ায় চার মাস ধরে চলমান ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত শত শত ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, অবরোধের কারণে ওই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। ইসরায়েল কঠোর অবরোধ বজায় রেখে কেবল অল্প সংখ্যক সাহায্য ট্রাক প্রবেশ করতে দিচ্ছে।
বিএনএনিউজ২৪, এসজিএন