20 C
আবহাওয়া
১১:৩২ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কাঙ্ক্ষিত হারে বাড়েনি এইডস সচেতনতা

কাঙ্ক্ষিত হারে বাড়েনি এইডস সচেতনতা

এইডস

বিএনএ ডেস্ক: একটা সময় ছিল যখন এইডস রোগের নাম শুনলেই মানুষ ভয় পেত। এখন সেই পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশে এইডস প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলো কাজ করছে। এইডসকে বাগে আনতে না পারলেও এর থাবা থেকে কিছুটা নিস্তার পাওয়ার ইঙ্গিত পেয়েছে জাতিসংঘের সংস্থা।

আজ ১ ডিসেম্বর, বিশ্ব এইডস দিবস। এইডসের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এ রোগে মারা ব্যক্তিদের প্রতি শোক প্রকাশের লক্ষ্যে সারা বিশ্বে এই দিন পালন করা হয়। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘Putting Ourselves to the Test: Achieving Equity to End HIV’ অর্থাৎ সবাইকে টেস্টের আওতায় আনার মাধ্যমে সমতা অর্জন করে এইচআইভি শেষ বা নির্মূল করতে হবে।

বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য হলো এইচআইভি ভাইরাসের সাথে লড়াই করে যারা বেঁচে আছেন তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। একইসঙ্গে এইডস আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের স্মরণ করা। মানবাধিকারের বিভাজন, বৈষম্য এবং উপেক্ষা এইচআইভি জয় করার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় বলে বিবেচনা করা হয়। এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে বিশ্ব এইডস দিবস পালন করে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও সামাজিক সংগঠন নানা আয়োজন করে থাকে। সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী, বেসরকারি সংস্থা এইডস প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সকলকে সচেতন করতে এই দিনটি পালন করে। বিশ্বব্যাপী ১৯৮৮ সাল থেকে বিশ্ব এইডস দিবস পালন করা শুরু হয়। ঠিক তার পরের বছরে দেশে প্রথম এইচআইভি পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়। এ অবস্থায় সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) এইচআইভি/এইডস-বিষয়ক লক্ষ্য অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে এইডস রোগটি নির্মূল করার জন্য জাতিসংঘের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, দেশের ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ নারীই এইডস বিষয়ে জানেন না। তবে এইডসের অন্তত একটি বাহক সম্পর্কে জানেন শতকরা ৭১ দশমিক ৫ শতাংশ নারী। ৩৬ শতাংশ নারী সবগুলো বাহক সম্পর্কে জানেন। পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে এ হার ছিল ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ বাহক সম্পর্কে নারীদের মধ্যে সচেতনতার হার বেড়েছে ৭ শতাংশ। যদিও পরিকল্পনা ছিল ৮-১০ শতাংশ বাড়ানোর। সরকারের সচেতনতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত হারে প্রবৃদ্ধি না হওয়ায় নারীদের মধ্যে এইডস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করে সরকারি সংস্থা বিবিএস।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের জাতীয় এইডস/এসটিডি কন্ট্রোল (এনএএসসি) প্রোগ্রামের তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ১২ লাখ ৯১ হাজার ৬৯ জনের এইচআইভি/এইডস শনাক্তকরণ পরীক্ষা হয়েছে। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল প্রায় ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৫৮৯।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ