বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় নদীপাড়ের চলাচলের একটি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রান্তিক গ্রুপ নামে একটি শিপ বিল্ডিং এন্ড রিপেয়ার কোম্পানির বিরুদ্ধে। এতে বিপাকে পড়েছে এলাকার শত শত লোকজন। তাদেরকে প্রায় দেড় কিলোমিটার ঘুরে নদীপাড়ে আসা–যাওয়া করতে গিয়ে নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণফুলীর চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর ৯ নম্বর ওয়ার্ড মুইন্না গোষ্ঠির এলাকায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিজ রয়া ত্রিপুরা ও সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি সদস্য মাহমুদুল হক সুমন।
ঘটনা সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ লোকচক্ষুর অন্তরালে কর্ণফুলীর ইছানগর গ্রামে লোহার গেইট বসিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে প্রান্তিক গ্রুপ নামের কোম্পানিটি। যদিও অভিযোগটি অস্বীকার করেন তাঁরা।
তবে স্থানীয় লোকজন জানান, অতীতে যুগ যুগ ধরে এ রাস্তা দিয়ে নদী পাড়ে লোকজন আসা যাওয়া করতো। ছিলো ছোট খাল ও চলাচলের রাস্তা। যে খাল দিয়ে মাঝিরা সাম্পান নিয়ে সওদা করে মালামাল ও লোকজন পার হতেন। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে কোম্পানীটি এ রাস্তা বন্ধ করে দখল চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এতে এলাকায় চলাচলের রাস্তা ও পানি নিষ্কাশন ড্রেনেজ সিস্টেম বন্ধ হয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করে জনস্বাস্থ্যকে হুমকি ও ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বাড়াচ্ছে বলেও জনশ্রুতি রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে এ নিয়ে স্থানীয় কিছু সচেতন ছাত্র জনতার সাথে তর্ক বিতর্কে জড়ান কোম্পানির লোকজন।
এমন খবরে একই দিন বিকেলে বিশৃঙ্খলা এড়াতে ঘটনাস্থলে এসে সমাধানের চেষ্টা করেন সহকারি কমিশনার ভূমি (এসিল্যাণ্ড) রয়া ত্রিপুরা ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা (তহসিলদার) উজ্জ্বল কান্তি দাশ। এছাড়াও সেনাবাহিনীর টহলরত সদস্যরা, থানা পুলিশ ও এলাকার গণমান্য লোকজন উপস্থিত হন।
এ প্রসঙ্গে কর্ণফুলী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিজ রয়া ত্রিপুরা বলেন, ‘জনগণের চলাচলের জায়গা সরকারি হলেও কখনো রাস্তা বন্ধ করা যাবে না। তবে আমরা সরেজমিনে বিষয়টি দেখেছি। এখন সার্ভেয়ার প্রতিবেদন নেব। তারপর কোম্পানির লোকজন ও স্থানীয় জনগণের স্বার্থে যেটি ভালো হয় সেটাই বিবেচনা করব।’
বিএনএনিউজ/ বিএম/হাসনা