26 C
আবহাওয়া
১০:৩৬ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে বাদীর জিডি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে বাদীর জিডি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে বাদীর জিডি

বিএনএ, ফেনী : আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফী হত্যা মামলার ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন বাদি মাহমুদুল হাসান নোমান।বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সমকাল সোনাগাজী প্রতিনিধি আবুল হোসেন রিপন ও বিদেশে অবস্থানরত সাংবাদিক ইলিয়াছ হোসেনসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলার বাদী এ জিডি করেছেন।

জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, তার বোন সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল আগুন সন্ত্রাসের শিকার হওয়ার পর আবুল হোসেন রিপন তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে ‘সোনাগাজীতে পেট্রল ঢেলে মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা’ ভিডিও শিরোনামে একটি পোস্ট আপলোড করেন। ঘটনার পর হতে মামলা তদন্তাধীন সময়, বিচার কার্য চলাকালে, মামলার বায় ঘোষণার আগে-পরেসহ গত বিগত বেশ কিছু দিন যাবত নুসরাতের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা বিতর্কিত মতামত ফেসবুকে আপলোড করে যাচ্ছেন।

তিনি কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল ও দুষ্কৃতকারীর দ্বারা প্রলুব্ধ হয়ে নুসরাত হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের স্বজনদের নানা প্রলোভনে প্রলুব্ধ করে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিদেশে অবস্থানরত সাংবাদিক ইলিয়াছ হোসেনকে দিয়ে তার ব্যবহৃত ইউটিউবে ভিডিও ক্লিপস (ট্রেইলর) আপলোড করেন; যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে এবং নুসরাতের পরিবারের সদস্যদের জন্য মানহানি ও অবমাননাকর।ভিডিও ক্লিপ আপলোড করার পর আবুল হোসেন রিপনের প্ররোচনায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির স্বজনরা মানববন্ধন করাসহ মামলার বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করাসহ নানা হুমকি দিচ্ছে। এতে বাদী ও তার পরিবারের সদস্যরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।

সোনাগাজী থানার ওসি মুহাম্মদ খালেদ হোসেন জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে থানায় জিডি করেছেন।

প্রসঙ্গত, অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাহর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা তুলে নিতে ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল আগুন সন্ত্রাসের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাফী ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে মারা যান।এ ঘটনায় তার ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে পিবিআই চার্জশিট দাখিল করে। ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ ১৬ আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামি কারাগারে রয়েছেন। আসামিদের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি হাইকোর্টে শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ