আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ এর একটি বক্তব্যে সরকারের বিভিন্ন মহল ও এজেন্সি নড়েচড়ে বসেছে। বুধবার (৩১ আগস্ট) জাতীয় সংসদে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড নিয়ে একটি সাধারণ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন,
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চক্রান্ত হচ্ছে, যে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে আওয়ামী লীগের লোকও জড়িত রয়েছে।
সাবেক তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কী ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে সেটি এখানে বলা যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে পারলে তাকে বলা যেতো। অর্থের(টাকার) বিনিময়ে ওই ষড়যন্ত্রে নিজেদের লোকও জড়িত।’
গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সবসময় সঠিক তথ্য দেয় না মন্তব্য করে সাবেক এই তথ্যমন্ত্রী তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাধ্যমে নিজস্ব ম্যাকানিজমে (উপায়ে) তথ্য সংগ্রহের পরামর্শ দেন। আবুল কালাম আজাদ একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং জামালপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য।
এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী, আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, বিরোাধী দলের উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, সরকারি দলের আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, তোফায়েল আহমেদ, বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
আলোচনায় অংশ নিয়ে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, হানাদার পাকিস্তানিরা স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতাকে হত্যা করতে পারেনি। খুনী মোশতাক, জিয়া, ফারুক, রশীদরা সপরিবারে এ মহান নেতাকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট হত্যার মূলনায়ক ( মাস্টার মাইন্ড) জিয়াউর রহমান। আর এর সাথে তৎকালীন সিনিয়র সেনাকর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন।