বিএনএ, ভোলা: ভোলার মেঘনা ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ঝড়ের কবলে পড়ে সাতটি ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় ৬৭ জেলে জীবিত উদ্ধার হলেও এখনও ছয় জন নিখোঁজ রয়েছেন।
সাত ট্রলারের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে তিনটি, সাগরের মোহনায় দুটি, দৌলতখানের মেঘনায় একটি ও সদর উপজেলার তুলাতলির মেঘনা নদীর মাঝের চর সংলগ্ন একটি ডুবেছে। ছয়টি বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের প্রভাবে ডুবেছে। অপরটি ডুবেছে কার্গো জাহাজের ধাক্কায়।
ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলো হলো- উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের মৎস্য আড়তদার মাইনুদ্দিনের ট্রলার এফবি মায়ের দোয়া, মনপুরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হাওলাদারের মৎস্য আড়তের লতিফ মাঝির ট্রলার, দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের পঁচাকোড়ালিয়া ঘাটের ইউনুচ বলির ট্রলার, সূর্যমুখী ঘাটের জান্টু মাঝির ট্রলার, উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের মাষ্টারহাট খালের জামাল মাঝির ট্রলার।
মনপুরা থানার ওসি জহিরুল ইসলাম কামরুল ও ইলিশা নৌ-থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. আখতারুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে নিম্মচাপের প্রভাবে মনপুরা থানা এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ীদের মাছ ধরার পাঁচটি ট্রলার মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বঙ্গোপসাগর ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ডুবে যায়।
পাঁচ ট্রলারের মধ্যে একটি মনপুরা উপজেলার হাজির হাট এলাকার মাইনুদ্দিন মাঝির, একটি হাজির হাট এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাফেজ মাঝির, একটি উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের জসিম মাঝির, একটি দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ইউনুস বলির ও অপরটি ১নং মনপুরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হাওলাদারের।
এর মধ্যে আলাউদ্দিন চেয়ারম্যান, ইউনুস বলি ও মাইনুদ্দিন মাঝির ট্রলার বঙ্গোপসাগরে ডুবেছে। হাফেজ ও জসিম মাঝির ট্রলার ডুবেছে মোহনায়।
মাইনুদ্দিন মাঝির ২২, হাফেজ মাঝির ৮, জসিম মাঝির ৮, ইউনুস বলির ১০ জেলের সবাই উদ্ধার হলেও ট্রলার উদ্ধার হয়নি। আর আলাউদ্দিন চেয়ারম্যানের ১০ জেলের মধ্যে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চার জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও তার ট্রলারের ছয় জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
এ ছাড়াও দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মো. মহিউদ্দিন মাঝির একটি ট্রলার পাঁচ জেলেসহ ডুবে গেছে। পরে স্থানীয় জেলেরা ট্রলারসহ সবাইকে উদ্ধার করেছে।
সদর উপজেলার তুলাতলি মেঘনা নদীর মাঝের চর এলাকায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ১০ জেলেসহ মো. শাহাবুদ্দিন মাঝির একটি ট্রলার ডুবে গেছে। ১০ জেলে সাঁতরে অন্য ট্রলারে উঠে তীরে এলেও ট্রলারটি মুহূর্তের মধ্যে ডুবে গেছে।
ছয় জেলে নিখোঁজ থাকা ট্রলারের মালিক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হাওলাদার জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত তার ট্রলারের চার জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় নিখোঁজ ছয় জেলের সন্ধান পাননি।
মনপুরা থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম জহির জানান, মনপুরায় পাঁচ ট্রলারডুবির ঘটনায় ৬৭ জেলে জীবিত উদ্ধার হলেও এখনও ছয় জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদেরকে সাগরে খোঁজা হচ্ছে।
ইলিশা নৌ-থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. আখতারুজ্জামান জানান, মেঘনায় দুটি ট্রলারডুবির ঘটনা তিনি শুনেছেন। তবে এ ঘটনায় কোনও নিখোঁজ নেই।
বিএনএ/এমএফ/ হাসনাহেনা