বিএনএ, সাভার: পরিকল্পিতভাবে আশুলিয়ায় নৃশংসভাবে খুন করা হয় রবিউল ইসলামকে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জেরে এই খুনের ঘটনা ঘটায় আলম ভূইয়া ও তার গ্রুপের সদস্যরা।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জবানবন্দিতে এসব তথ্য উঠে আসে। তাদেরকে ৭ দিনের রিমান্ডের জন্য কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-আশুলিয়ার ইউনিক এলাকার আলম ভূইয়া (৫৫), সেলিম ভূইয়া (৪২), ফারুক ভূইয়া (৩৫) ও আজাহার ভূইয়া (২৪)।
নিহত রবিউল ইসলাম আশুলিয়া থানার দক্ষিণ বাইপাল চাড়ালপাড়া এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে। রবিউল স্থানীয় ইউনিক বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। এছাড়াও তিনি গার্মেন্টসের ঝুটের ব্যবসা করতেন।
জানা যায়, আশুলিয়ায় গার্মেন্টসের ঝুট ও মাদক ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার করতে আলম ভূইয়া গ্রুপ এবং ফরহাদ আহম্মেদ সোহাগ গ্রুপের মধ্যে শত্রুতা শুরু হয়। এরই জের ধরে গত ২৭ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভূইয়া গ্রুপ ও সোহাগ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় আশুলিয়া থানায় ইসতিয়াকের বড় ভাই রাশেদ ভূইয়া বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৮৪। সেই মামলার দুই নাম্বার আসামি করা হয়েছিল মো. রবিউল ইসলামকে।
যেভাবে খুন করা হয় রবিউল ইসলামকে
রবিউল ইসলামের সহকর্মী সুমন শেখ রবিউলকে আশুলিয়ার ইউনিক এলাকায় ভূইয়া গ্রুপের হাতে তুলে দেয়। তারপর সেখান থেকে রবিউলকে একটি বাসায় নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে রবিউলের হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। তার হাত পা ভেঙ্গে বস্তাবন্দি করে। তারপর ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ভাড়ারিয়া বাজার এলাকার একটি পুকুরে তাকে মৃত ভেবে ফেলে দেয়। সেখান থেকে রবিউলকে বস্তাবন্দি মুমূর্ষু অবস্থায় আশরাফ নামে এক ভ্যান চালক তাকে জীবিত উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়রা চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আশুলিয়া থানার পুলিশ জানায়, গত ২৭ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে আলম ভূইয়ার ছেলে সহ কয়েকজন মারধরের শিকার হয়। সেই ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। নিহত রবিউল ওই মামলার ২ নাম্বার আসামি ছিলেন। ওই ঘটনার জের ধরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধামরাই থানার ওসি (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস বলেন, রবিউল হত্যার ঘটনায় ধামরাই থানায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নাম্বার ১। এঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সকালে তাদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বিএনএ/ ইমরান, এমএফ/ হাসনাহেনা