বিএনএ,চট্টগ্রাম: পোশাক শিল্পের আমদানিকৃত চালান চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস এবং ডেলিভারি অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। বৃহস্পতিবার ১ জুলাই থেকে লকডাউনকালিন সময়ে বন্দরের ইয়ার্ডের পরিবর্তে গত বছরের ন্যায় বেসরকারি আইসিডি (ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো) থেকে ডেলিভারি দেওয়ার উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এই প্রেক্ষিতে বিজিএমইএ’র ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে চিঠি দেন। বুধবার (৩০ জুন) বিজিএমইএ’র ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, প্রাইভেট আইসিডি সমূহে পর্যাপ্ত স্থান, ইক্যুইপমেন্ট ও শ্রমিক স্বল্পতায় মালামাল খালাসে দীর্ঘসূত্রতাসহ প্রচুর সময়ক্ষেপন হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ড থেকে আমদানি পণ্যের কন্টেইনার ডেলিভারি নিতে সময় লাগে ২ দিন। অন্যদিকে আইসিডি থেকে ডেলিভারি নিতে লেগে যায় ৬ থেকে ৭ দিন। তাছাড়া আইসিডির মাশুল চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে অনেক বেশি। অতিরিক্ত চার্জ প্রদান করে প্রাইভেট আইসিডি থেকে মালামাল খালাস করা বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে সম্ভব নয়।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুতে ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতর কন্টেইনার জটের চাপ কমাতে সাময়িক সময়ের জন্য বন্দরের বদলে বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোতে নিয়ে খালাসের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ওই সময়ে বন্দরে কন্টেইনার ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত কন্টেইনার জমে যায়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ১ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া লকডাউনে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম সচল রাখতে মঙ্গলবার (২৯ জুন) বন্দর সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার প্রতিষ্ঠানের সাথে বৈঠক করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ওই সভায় অবহিত করা হয় লকডাউনককালীন সময়ে বন্দরের ইয়ার্ডে কন্টেইনার জট এড়াতে আমদানি পণ্যের কন্টেইনার বেসরকারি আইসিডিগুলোতে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে বন্দর কর্তৃপক্ষের এমন প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিজিএমইএ, সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ। তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান নাজুক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তৈরি পোশাক শিল্পের চালান ডেলিভারি বন্দরের ইয়ার্ড থেকে অব্যাহত রাখার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
বিএনএনিউজ/মনির