বিএনএ : এক মাসের সিয়াম সাধনার পর সৌদি আরবে আগামী সোমবার ঈদ হতে যাচ্ছে। সাধারণত সৌদি আরবে বাংলাদেশের একদিন আগে রোজা শুরু হয়। সে হিসেবে এবার বাংলাদেশে ঈদ হতে যাচ্ছে আগামী মঙ্গলবার।
ঈদের (Eidul Fitre) দিনের বড় একটা বিষয় হচ্ছে ঈদের নামাজ। মুসলিম উম্মাহর জন্য ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব। বছরে দুই বার ঈদের নামাজ পড়তে হয়। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার কারণে অনেকেই ঈদের নামাজের নিয়মগুলো ভুলে যায়। তাই সবার সুবিধার্থে ঈদের নামাজ নিয়ত, নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো-
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত নিয়ত :
যারা আরবী জানেন তারা আরবীতে নিয়ত করবেন। আর আরবী না জানলে বাংলাতে নিয়ত করলে হবে।
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত (বাংলা)
ইমামের পেছনে কেবলামুখী হয়ে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ ছয় তাকবিরের সঙ্গে আদায় করছি।
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত (আরবি)
নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকয়াতা সালাতি ঈদিল ফিতর, মায়া ছিত্তাতি তাকবীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তায়ালা ইকতাদাইতু বিহাযাল ইমাম, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম
নিয়ত করে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত তুলে তাহরিমা বাঁধতে হবে। এরপর ছানা পড়েন মুসল্লিরা- সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়াতাআলা যাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।
এরপর তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ উচ্চারণ করে তাকবির বলতে হয়। প্রথম দুই বার কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু তৃতীয়বার বলে হাত বেঁধে নেন সবাই। প্রতিটি তাকবিরের পর তিনবার সুবহানাল্লাহ বলা যায় এমন সময় থেমে থাকতে হয়।
তারপর আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ে সূরা ফাতেহার পর একটি সূরা যুক্ত করেন ইমাম। এরপর স্বাভাবিক নামাজের মতোই রুকু ও সিজদা করে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়াতে হয়। এবার বিসমিল্লাহ বলার পর সূরা ফাতেহা পড়ে আরেকটি সূরা মেলানো হবে। তারপর তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলার মাধ্যমে তিনটি তাকবির সম্পন্ন করতে হয়। এ সময় প্রতিটি তাকবিরের পর হাত ছেড়ে দিতে হবে এবং চতুর্থবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত না বেঁধে রুকুতে চলে যাওয়া নিয়ম। এরপর সেজদা ও আখেরি বৈঠকের পর সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ হয়।
ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত নামাজ শেষে ইমাম মিম্বারে উঠে দুটি খুতবা দেন। ঈদের খুতবা শোনা ওয়াজিব। খুতবা শেষে সবাই মসজিদ থেকে বের হবেন।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।