বিএনএ, চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন রোজাদাররা। গরম ও রোদের তাপের কারণে হাঁসফাঁস অবস্থা। কৃষক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশাচালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়েছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে।
সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা ৩টার দিকে জেলায় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২১ শতাংশ।
এদিকে প্রচণ্ড গরম হওয়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রোজাদাররা বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা গরমে অস্থির হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ।
করিম নামের এক রিকশাচালক বলেন, ‘রোজার থেকে এই তীব্র রোদের কারণে রিকশা চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। রোদের তীব্রতার জন্য রাস্তায় দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় মানুষ কম বের হচ্ছেন।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ৩১ মার্চ গত রোববার ভোরে এ জেলায় ঝড়-বৃষ্টি হয়। তারপরও তাপমাত্রা কমেনি। ক্রমেই তাপমাত্রার পারদ ওপরে উঠছে।
সোমবার দুপুর ১২টায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিকেল ৩টায় তা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা চলতি মৌসুমে এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত আবহাওয়া পরিস্থিতি এমনই থাকবে। এর মাঝে তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে। আপাতত বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড়ের বিষয়ে আগে থেকে বোঝা যায় না। দুই-এক ঘণ্টা আগে ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়া যায়।
বিএনএ/এমএফ/এইচমুন্নী