বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অতিলোভের কারণে ২০০৫ সালে টাটার তিন বিলিয়ন ডলারের মেগা বিনিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। এমন তথ্য তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জয় তার নিজের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। টাটা কোম্পানি ২০০৫ সালে বাংলাদেশে তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে আগ্রহ দেখালেও শেষ মুহূর্তে বিনিয়োগ থেকে সরে যায়। টাটা কেন সরে যায় তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। আর এদেশের যুব সমাজ কেন তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় সে প্রশ্নও রাখেন তিনি।
ভিডিওতে বলা হয়, তারেক রহমান ও তার সঙ্গী গিয়াসউদ্দিন মামুনের লোভের খেসারত বাংলাদেশকে দিতে হয় তখন। জয় বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তাদের কুকীর্তির কারণে বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় টাটাসহ অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।
তারেক জিয়ার দুর্নীতি নিয়ে জয়ের ভিডিও
ভিডিওবার্তায় আরও উঠে আসে, ২০০৫ সালের ৮ মে সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান ঘোষণা করেন, টাটা বাংলাদেশে তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত, যা অতীতের সব বিদেশি বিনিয়োগকে ছাড়িয়ে যেতো। পরিকল্পনা মোতাবেক ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি ২৫ বছরের নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের বিনিময়ে এদেশের রাসায়নিক সার ও ইস্পাত শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী ছিল। শুধু তাই নয়, এই বিনিয়োগ চুক্তি সফল হলে বাংলাদেশ টাটার কাছ থেকে ১০ শতাংশ শেয়ারেরও অংশীদার হতো।
সেসময় টাটার পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় তারেক রহমান এবং তার ‘ডানহাত’ খ্যাত গিয়াসউদ্দিন মামুন ও সিলভার সেলিম রতন টাটার সাথে আলাদাভাবে একান্ত বৈঠকের দাবি করেন। এমন দাবির প্রেক্ষিতে তখন বাকি পরিচালকরা উঠে যান। পরে রতন টাটাকে ১০ শতাংশ কমিশনের প্রস্তাব দেন গিয়াসউদ্দিন মামুন। কিন্তু এ প্রস্তাব শোনা মাত্র টাটার মালিক তা প্রত্যাখ্যান করেন। তবে দাবিতে অনড় থাকেন তারেক।
এক পযায়ে রতন টাটা গিয়াসউদ্দিনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও দুবাইয়ের থাকা বিভিন্ন ব্যাংকে লেনদেনের হদিস পান।
জয় তার ফেসবুক পোস্টে জানান, একান্ত বৈঠকে গিয়াসউদ্দিন প্রথম দফায় ২০০ কোটি ও পরে জাতীয় নির্বাচন বাবদ আরও ১০০ কোটি টাকা দাবি করেন। ওই বৈঠকের পর রতন টাটা ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বরাবর এক চিঠিতে তারেক ও গিয়াস উদ্দিন মামুনের এই ঘুষ চাওয়ার ঘটনা ফাঁস করে দেন।
উল্লেখ্য, টাটার কাছে তারেক-মামুনের ঘুষ দাবি করার ওই ঘটনা ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের দরবার পর্যন্ত গড়ায়। পরে টাটা গ্রুপ নিয়ম অনুযায়ী প্রজেক্ট বাতিল করে।
বিএনএ/ এ আর