অলি আহাদ ১৯২৮ সালে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার ইসলামপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫০ সালে বি.এম পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। রাজনৈতিক কারণে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হন।
পূর্ব-পাকিস্তান যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অলি আহাদ ভাষা-আন্দোলনের আটচল্লিশ ও বায়ান্ন উভয় পর্বেই বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪৮ সালের ভাষা-আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার কারণে তিনি কারারুদ্ধ হন। বায়ান্নর সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম সদস্য হিসেবে যে কতিপয় সদস্য ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গের পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন, তিনি ছিলেন তাদের অন্যতম। আন্দোলনে তাঁর বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে ১৯৫২ সালে তাঁকে দীর্ঘকাল কারাভোগ করতে হয়।
৩০ ডিসেম্বর ১৯৪৭ তারিখে প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদে অলি আহাদ অন্যতম সদস্য ছিলেন। রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলনকে ব্যাপক গণআন্দোলনে রূপান্তরিত করার জন্য ১৯৪৮ সালের ২ মার্চ তারিখে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ সম্প্রসারণ করে যে দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়, অলি আহাদ তাতে অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১১ মার্চ ১৯৪৮ তারিখে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে পাকিস্তানের প্রথম হরতাল পালনের সময় অলি আহাদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ সময়ে বিক্ষোভ ও পিকেটিং-এ অংশগ্রহণ করে আহত হন। সেক্রেটারিয়েটের নিকট বিক্ষোভরত অবস্থায় ঐ দিন পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। ১৫ মার্চ ১৯৪৮ তারিখে রাষ্ট্রভাষা চুক্তি স্বাক্ষর হলে উক্ত চুক্তির শর্তানুসারে গ্রেফতারকৃত অন্য নেতৃবৃন্দের সাথে তিনি ঐ দিন রাতে মুক্তিলাভ করেন।
সূত্র: যারা অমর ভাষা সংগ্রামে, লেখক: এমআর মাহবুব
সম্পাদনায়: মনির ফয়সাল
পড়ুন আগের পর্ব: ভাষা সৈনিক(২) অজিত কুমার গুহ পর্ব :০৩