বিএনএ, ঢাকা : রাজধানীর মিরপুর ও আশুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। এ সময় উদ্ধার করা হয় ১৫ জন ভুক্তভোগীকে। এ ঘটনায় প্রতারণার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) র্যাব-৪ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় কিছু ভুইফোড় কোম্পানি সাধারণ জনগণের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ওই তথ্যে রোববার অভিযান চালিয়ে ১৫ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও ১১ প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, অভিযানকালে মিরপুরে আনন্দ সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেড নামক অফিস থেকে ৯জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শামিমা বেগম, রেশমা খাতুন, আকলিমা আক্তার ওরফে আখি, রায়হান হোসেন, তুষার রহমান, শ্রাবন হোসেন, সাকিব ইসলাম, জাকির হোসেন ও সোহেল মিয়া। অফিসটি থেকে ১০০টি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ফরম, ২০০টি ভর্তি ফরম, ১২০টি ভুয়া নিয়োগপত্র, ১৭৫টি জরুরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, চারটি ডিজিটাল সিল, ১৫টি নিবন্ধিত বই এবং ৪৫০টি ভিজিটিং কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া সাভারের আশুলিয়া থেকে ক্যাপটর সিকিউরিটি লিমিটেডের অফিসে অভিযান চালিয়ে লিটন শিকদার, ওসমান গনি নামের দুজন প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ২০০টি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ফরম, ২০টি ভুয়া নিয়োগপত্র, ১০০টি জীবন বৃত্তান্ত ফরম, চারটি ডিজিটাল সিল, দুটি রেজিস্টার খাতা এবং দুটি চাকরিতে যোগদানের অঙ্গীকারপত্র ফরমের বই উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাকৃতরা র্যাবকে জানিয়েছেন, তারা একটি প্রতারক চক্রের সদস্য। চক্রটি রাজধানীসহ ঢাকা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অফিস ভাড়া করে ভিন্ন নামে-বেনামে প্রতিষ্ঠান খুলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অল্প শিক্ষিত বেকার ও আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল তরুণ-তরুণীদেরকে বেশি বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রতারণা করছিলেন। চাকরি দেয়ার নামে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন চক্রের সদস্যরা। এছাড়াও তারা ট্রেনিংয়ের নামে টাকা নিতেন। পাশাপাশি চাকরিপ্রার্থীরা অন্য সদস্য সংগ্রহ করে দিলে কমিশন দেয়ার প্রলোভন দিতেন।
বিএনএনিউজ/ এসকেকে/ এইচ.এম।