বিএনএ,কক্সবাজার: পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাখো পর্যটক এবং স্থানীয় দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছিল।গত কয়েকবছর ধরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে থার্টি ফার্স্ট নাইটে কোনো উন্মুক্ত আয়োজন নেই। ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ১২টা। সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে হাজার হাজার পর্যটক আতশবাজি, পটকা এবং ফানুস উড়িয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উদযাপন করেছে থার্টি ফার্স্ট নাইট।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে পুরো বিচ জুড়ে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো শুরু করে পর্যটকরা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। রাত ১২টা বাজতে না বাজতেই সৈকত জুড়ে বিরামহীন পটকার শব্দে যেন কম্পিত হয়ে ওঠে পরিবেশ। সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা, লাবণী রাত ১১টা থেকেই আতশবাজি ও পটকার আওয়াজ শুরু হয়। ১২ বাজতেই বিকট শব্দে চারপাশ প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
থার্টি ফার্স্ট নাইটকে ঘিরে কক্সবাজার শহর ও সৈকত এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ছিল। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ১০টি জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এছাড়া ট্যুরিস্ট পুলিশ ও র্যাবের পক্ষ থেকেও কয়েক স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। একারণে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাাড়াই শেষ হয়েছে থার্টি ফার্স্ট নাইট উৎসব।
ইংরেজি নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ করেছিল সরকার। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন এলাকায় চলেছে পটকা ফোটানোর উৎসব।
বিএনএনিউজ/ আরএস