27 C
আবহাওয়া
৯:২১ অপরাহ্ণ - মার্চ ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চিকিৎসকের অবহেলা; রাবি অধ্যাপকের প্রতিবাদ

চিকিৎসকের অবহেলা; রাবি অধ্যাপকের প্রতিবাদ

রাবি অধ্যাপকের প্রতিবাদ

বিএনএ ডেস্ক: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা এবং সারা দেশে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবায় অনিয়ম, অবহেলা ও রোগীর স্বজনদের সঙ্গে চিকিৎসকদের অশোভন আচরণের প্রতিবাদে অনশন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে অনশনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানান তিনি।

অনশনের বিষয়ে অধ্যাপক ফরিদ খান বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে যেসব সাধারণ মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে যাচ্ছেন তারা নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বড় ভোগান্তি হলো, চিকিৎসকদের অবহেলা এবং অনীহা। চিকিৎসকরা প্রাইভেটে এত বেশি সময় দেয়, যেন তারা সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিশ্রাম নিতে আসেন। এ কারণে নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। আর এসব বিষয়ে রোগীর স্বজনরা কথা বলতে তেলে চিকিৎসকরা একযোগে চড়াও হন।

অধ্যাপক ফরিদ খান বলেন, রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে রামেকে, এটা অসভ্যতার চরম লক্ষণ এবং বর্বরোচিত একটা হামলা। উত্তেজিত হয়ে রাবি শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর করেছে এজন্য তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারত। কিন্তু চিকিৎসকরা অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করবে- এটা কোনোভাবেই সুস্থ-সামাজিক সমাজে মেনে নেয়া উচিত নয়।

যারা এ ধরনের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করা হোক। এরা চিকিৎসকদের কলঙ্ক উল্লেখ করে অধ্যাপক ফরিদ খান বলেন, এরা কোনোভাবেই চিকিৎসক হতে পারে না। সেবার ব্রত নিয়ে তারা মানুষের সঙ্গে এমন আচরণ করতে পারে না। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত। পাশাপাশি যারা ডাক্তারি পড়ালেখা করছে তাদের মানবিক গুণাবলি নিয়ে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন তিনি।

গত ১৯ অক্টোবর রাত ৮টায় রাবির শহীদ হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা শাহরিয়ার। রামেকে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় তার।

পরে শাহরিয়ারের চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে তার সহপাঠীরা হাসপাতালের ৮নং ওয়ার্ডের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে বিতর্কে জড়ান এবং ভাঙচুর চালান। পরে রামেকের ইন্টার্নরা অস্ত্রোপচারে ব্যবহৃত ছুরি, কাঁচি দিয়ে হামলা করে রাবির কয়েকজন শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত করে। এরপর থেকে রাবি ও রামেক একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করাসহ নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করে আসছে।

বিএনএ/এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ