বিএনএ, চবি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বিশ্ব সংস্কৃত দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগ কর্তৃক আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার( ৩১ আগস্ট ) দুপুর ২টার দিকে সংস্কৃত বিভাগে আয়োজিত হয় আলোচনা সভা । এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি সংস্কৃত বিভাগের সভাপতি রাজপতি দাশ।
আলোচনা সভা শেষে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজপতি দাশ বলেন, প্রাচীন আর্য ভাষা সংস্কৃতের মধ্যে ভারতবর্ষের প্রায় ৩৫০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং পরম্পরাকে আমরা খুঁজে পাই। এই ভাষা ভীষণভাবে বৈজ্ঞানিক। বর্তমানের বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি এবং রাজনীতির সঙ্গে সংস্কৃতের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সংস্কৃত ভাষা কম্পিউটারের ভাষা এবং কোড তৈরিতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। নাসার বিজ্ঞানীরা সংস্কৃতকে কম্পিউটারের বন্ধু ভাষা হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। বিশ্বের নানা প্রান্তে এই ভাষা নিয়ে এখনও বহুল চর্চা হয়। ৬ষ্ঠ এবং ৭ম জেনারেশনের কম্পিউটার তৈরিতে আমেরিকা সংস্কৃতকে নানাভাবে ব্যবহার করছে। জার্মানির প্রায় ১৪ টি বিশ্ববিদ্যালয় ও ১৪০০ টি স্কুলে সংস্কৃত পড়ানো হয়। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ভাষার অধ্যয়ন ও নিরন্তর গবেষণা চলছে। নিকট ভবিষ্যতে এ ভাষা বিশ্বব্যাপী প্রচলিত ও সমাদৃত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
বর্তমানে বাংলাদেশের ৩ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রায় ৭০ টি সরকারি বেসরকারি কলেজে সংস্কৃত বিষয় রয়েছে। আজকের এই বিশ্ব সংস্কৃত দিবসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুতনয়া শেখ হাসিনার নিকট দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংস্কৃত বিষয় চালু করার আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য,সংস্কৃত ভাষাকে পুনরুজ্জীবিত ও রক্ষণাবেক্ষণে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালে শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তথা রক্ষা বন্ধন তিথিতে বিশ্ব সংস্কৃত দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক ড. সুপ্তিকণা মজুমদার, সহযোগী অধ্যাপক ড. শিপক কৃষ্ণ দেব নাথ, ড. লিটন মিত্র, সহকারী অধ্যাপক রীতা রানী ধর, নীলকান্ত বিশ্বাস, প্রভাষক পবিত্র কুমার হীরা ও হিমেল কর্মকার।
বিএনএ/ সুমন, এমএফ
