২২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন সাবেক যুবদল নেতা জানুয়ারি ৩০, ২০২১ বিএনএ, ঢাকা : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার দুই নম্বর আসামি অধ্যাপক আবুল কাশেম জোয়ার্দারের আপন দুই ভাইপোর ২২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে লন্ডনে পাচার করেছেন যুবদলের সাবেক নেতা ও ব্যবসায়ী মশিউর রহমান মামুন। অধ্যাপক আবুল কাশেম জোয়ার্দারের দুই ভাইপো অধ্যাপক ড. মো. আবুল মাসরুর ও প্রকৌশলী মুহাম্মদ ওমর ফারুক যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। প্রবাসী অধ্যাপক ও তার সহোদরের ২২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা আত্মসাতের পাশাপাশি ধানমন্ডিতে দুটি ফ্ল্যাটও দখলে রেখেছেন মামুন। শনিবার(৩০ জানুয়ারী) দুপুরে সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অধ্যাপক আবুল কাশেম জোয়ার্দারের পুত্র সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রিফাৎ নিলয় জোয়ার্দার এসব অভিযোগ করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে প্রকৌশলী সুলতান আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট রিফাৎ নিলয় জোয়ার্দার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অধ্যাপক ড. মো. আবুল মাসরুর ও তার ভাই প্রকৌশলী মুহাম্মদ ওমর ফারুক পৈত্রিক সূত্রে ধানমন্ডির বাড়িটির (বাড়ি নং ২৯, সড়ক নং ১৪, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ঢাকা-১২০৯) মালিক। তারা দুই জনই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। এরমধ্যে ড. মো. আবুল মাসরুর বুয়েটের প্রফেসর ছিলেন। প্রবাসী ওই দুই ভাইরের বাংলা মটরে ৬ দশমিক ৭৫ কাঠা জমিতে বিল্ডিং রয়েছে। বিল্ডিংয়ের নাম নূরজাহান টাওয়ার। ডেভেলপারের মাধ্যমে করা এই বিল্ডিংয়ের যে অংশ প্রবাসী দুই ভাই পেয়েছেন তার সবই বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন মামুন। এই দুটি বিল্ডিংয়ের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয় মামুনকে। আর এই দায়িত্ব পাওয়ার সুযোগে শর্ত ভঙ্গ করে প্রবাসী দুই ভাইকে সর্বশান্ত করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে অারো বলা হয়, ধানমন্ডির বাড়িটি ডেভেলপার কোম্পানির মাধ্যমে ডেভেলপ করা হয়। এক্ষেত্রে জমির মালিক হিসেবে পাওয়া ১০৪, ২০২, ২০৩, ২০৬, ৩০৩ ও ৩০৬ ফ্ল্যাটের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পান মামুন। এর মধ্যে ২০২ মালিকদ্বয় কর্তৃক ব্যবহৃত হয়। আর মালিকদ্বয় ৩০৪ নম্বর ফ্ল্যাটে মামুনকে থাকার অনুমতি দেয়। এছাড়া মালিকদ্বয়ের অনুমতি ছাড়াই ৩টি ফ্ল্যাট দখলে রাখেন তিনি। এরমধ্যে ৩০৩ নম্বর ফ্ল্যাট অফিস হিসেবে ব্যবহার করেন মামুন। এই ফ্ল্যাটে বিএনপির এক শ্রেণীর নেতাদের নিয়মিত আসা-যাওয়া রয়েছে। বিএনপি নেতাদের গোপন বৈঠকও সেখানে প্রায় অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৪ সালে সরকার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করে। সাংবাদিক সম্মেলনে লন্ডনে টাকা পাচার রোধ করতে অবিলম্বে মশিউর রহমান মামুনকে গ্রেফতার করার দাবি করা হয়। বিএনএ/আজিজুল, ওজি