বিএনএ, ঢাকা : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা এবং উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে থাকা সকল প্রতিষ্ঠানকে ক্ষমতায়নের মাধ্যম স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে নিবিড়ভাবে কাজ করছে সরকার। একই সাথে জনপ্রতিনিধিদের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট-এনআইএলজি আয়োজিত ‘ইউনিয়ন পরিষদ-ইউপি ট্রেনিং মডিউলস এবং প্রথম ই-লার্নিং কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই পারে জনগণকে সাথে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া রোডম্যাপ অনুযায়ী দেশকে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দিতে, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে। তাই এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রশিক্ষণ পরবর্তী মূল্যায়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রশিক্ষণ অবশ্যই ফলপ্রসূ এবং কার্যকর হতে হবে। জনপ্রতিনিধিরা যথাযথ প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশ এবং মানুষের কল্যাণে আরো বেশি ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারাদেশের স্থানীয় পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিগণ এই প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। প্রশিক্ষণ প্রদানের সময় তাদের দায়িত্ব, কর্তব্য ও জবাবদিহিতা সম্পর্কে সচেতন এবং মনিটরিং করার বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে করে একটি যুগোপযোগী ‘মডেল’ তৈরি করারও পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
বিভিন্ন খাতে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ফলে শহর, নগর ও গ্রামগঞ্জে অনেক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জনপ্রতিনিধিত্বমূলক এসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয় বৃদ্ধি করে মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ করার জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধিদের আহ্বান জানান।
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের মানুষের সাথে নিবিড় ভাবে কাজ করে থাকেন। তারা যদি তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে তাহলে সরকারের গৃহীত নানা উদ্যোগের সুফল মানুষ পাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশ এখন ডিজিটালে রুপান্তরিত হয়েছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, অনেক শিল্প-কলকারখানা ও কর্মসংস্থান তৈরিসহ সকল খাতে উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, দেশের অধিক জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে হবে। তাহলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হবে। আর এটি হলে ২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ।
স্থানীয় সরকারের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি সুয়ার্ড। এছাড়া জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর, স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং এনআইএলজি’র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, মন্ত্রী ইউনিয়ন পরিষদ ট্রেনিং মডিউলসের মোড়ক উন্মোচন করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে ই-লার্নিংয়ের উপরে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়।