বিএনএ, রাবি: পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ. মান্নান বলেছেন, ‘চাকরি জীবন থেকেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমার পরিচয়। সেই সাথে পনেরো বছর ধরে তাঁর ক্যাবিনেটে দায়িত্ব পালন করছি। শেখ হাসিনার মধ্যে নিরেট, অবিমিশ্র বাঙ্গালী চরিত্র দেখতে পাই। মন্ত্রী হিসেবে আমি তাঁর কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা পেয়েছি।’
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে— ‘শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনার প্রশংসা করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর যে সাহস এবং দৃঢ়তা রয়েছে সেটাকে তিনি প্রতিফলিত করছেন কাজের মাধ্যমে। গত ১৫ বছরে একদিনও মিটিংয়ে দেরি করে আসেনি প্রধানমন্ত্রী।জাপানিজ বা ব্রিটিশদের কাছ থেকে সময়ানুবর্তিতা শিখতে হবে না; আমাদের প্রধানমন্ত্রীই তার জ্বলন্ত উদাহরণ। আমার দেখা গত ১৫ বছরে তিনি কখনোই কোন মিটিংয়ে দেরি করে আসেননি। দেশের কাজে কোন সময় একটু দেরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তিনি অনেক আগেই তা আমাদের জানিয়ে দেন। পাশাপাশি তিনি একজন তীক্ষ্ণ-স্মৃতি-শক্তি-সম্পন্ন মানুষ। এই দেশের কোথায় কি আছে সবকিছুই চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারেন।’
আলোচনা সভায় রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ আলি কামাল।
রাসিক মেয়র বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশে ফিরেন তখন তার বয়স মাত্র ৩৪। জিয়ার আমলে আওয়ামী লীগের একটি ছিন্নভিন্ন অবস্থা ছিল। দলের নেতৃত্ব পর্যায়ে তখন ছাড়া ছাড়া ভাব। নেত্রী দেশে আসার পর কর্মীরা একটি আশার আলো দেখতে পেলো। আমার জানামতে বাংলাদেশের এমন কোনো উপজেলা নেই, যেখানে শেখ হাসিনা যান নি। যার ফলশ্রুতি, ‘৯৬-এর জুন মাসের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় আসেন। দেশে ফেরার পর থেকেই তিনি প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে ঘুরে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা করেছেন, যার বাস্তবায়ন এখন দেখতে পাচ্ছি আমরা।’ শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার প্রশংসা করে তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান তিনি।’
আলোচনা সভা শেষে অতিথিদেরকে লেখক সোহরাব হোসেন রচিত ‘বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার প্রবাসে দুঃসহ জীবন’ নামের একটি বই উপহার দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।
এর আগে সকাল সাড়ে নয়টায় পরিকল্পনামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারি এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ও শহীদ জোহার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
বিএনএ/সাকিব, এমএফ
Total Viewed and Shared : 19