31 C
আবহাওয়া
১১:৪৮ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চবিতে প্রথমবারের মতো গবেষণা উদ্ভাবন ও প্রকাশনা মেলা

চবিতে প্রথমবারের মতো গবেষণা উদ্ভাবন ও প্রকাশনা মেলা

চবিতে প্রথমবারের মতো গবেষণা উদ্ভাবন ও প্রকাশনা মেলা অনুষ্ঠিত

বিএনএ, চবি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে গবেষণা উদ্ভাবন ও প্রকাশনা মেলা। বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও গণিতবিদ ড. জামাল নজরুল ইসলামের ৮৪ তম জন্মতিথি উদযাপন উপলক্ষে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্ত্বরে এ মেলার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। চলে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।

গবেষণার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে , শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও চট্টগ্রাম বিভাগের গবেষকদের বিভিন্ন গবেষণাকর্মকে সর্বসাধারণের সামনে উপস্থাপন ও গবেষণার সংস্কৃতিকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো এ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

চবির ৪০টি বিভাগ, ৩৫টি ল্যাবরেটরি এবং চট্টগ্রামের আরও ২০টি প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নিয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও এতে অংশ নিয়েছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বিসিএসআইআর, এটমিক এনার্জি কমিশন, বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফি রিসার্চ ইন্সটিটিউট, বন গবেষণা ইন্সটিটিউট, চিটাগাং রিসার্চ ইন্সটিটিউট ফর চিল্ড্রেন সার্জারি ও পাসটো রিসার্চ গ্রুপ।

অনুষ্ঠানে চবির জামাল নজরুল ইসলাম গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আয়োজন বাংলাদেশের গবেষণা ক্ষেত্রে সুদূর প্রসারী প্রভাব বিস্তার করবে। এই গবেষণা উৎসব শিক্ষার্থীদের মাঝে গবেষণা কাজকে আরো উৎসাহী করবে।

চবিতে প্রথমবারের মতো গবেষণা উদ্ভাবন ও প্রকাশনা মেলা অনুষ্ঠিত
অনুষ্ঠানে উপস্থিতিদের একাংশ

উপাচার্য অধ্যাপক শিরিণ আখতার বলেন, ড. জামাল নজরুল ইসলাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে গবেষণাতে আলো ছড়িয়েছেন। আপনারা যারা গবেষণা করছেন, ড. জামাল নজরুল ইসলামের দেখানো পথ অনুসরণ করে আপনারা গবেষণা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিন এবং নিজেদের অস্তিত্বকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরুন।

গবেষণার বিষয়ে অনুষ্ঠানের মূল বক্তা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডিসটিংগুইজড প্রফেসর’ কম্পিউটার বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, বাংলাদেশের ছেলেদের গবেষণার ফান্ড আরো বেশি হওয়া প্রয়োজন। গবেষণা কাজের ফান্ড বাড়ালে শিক্ষার্থীরা আরো এগিয়ে যাবে। তাদের গবেষণা আরো সমৃদ্ধ হবে। কোরিয়াতে পাবলিশড করলেই ২০০০ ডলার দেয়। আমরা বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো তৈরিতে বেশি আগ্রহী। কিন্তু, বাংলাদেশে গবেষণা কার্যক্রম অনেক পিছিয়ে। আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা জ্ঞানে ও মেধায় অনেক এগিয়ে। কিন্তু, তাদেরকে গবেষণা কাজে উৎসাহিত করা কম হয়। এদেশের ছেলেরাই বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানে  তাদের প্রতিভা তুলে ধরেছে। তারা অনেক যোগ্য। তাদেরকে উৎসাহ প্রদান করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ছেলেদের গবেষণার ফান্ড আরো বেশি হওয়া প্রয়োজন। গবেষণা কাজের ফান্ড বাড়ালে শিক্ষার্থীরা আরো এগিয়ে যাবে। তাদের গবেষণা আরো সমৃদ্ধ হবে।

বিএনএ/ সুমন বাইজিদ/ বিএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ