24 C
আবহাওয়া
৬:২১ পূর্বাহ্ণ - মে ৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » আবারও ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে করোনা

আবারও ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে করোনা

করোনা

বিএনএ ডেস্ক: গত ছয় মাস দেশে করোনার পরিস্থিতি ছিল অনেকটাই স্তস্তিদায়ক। কিন্তু বছর শেষে সেই স্বস্তির জায়গায় নতুন উদ্বেগ নীতিনির্ধারকদের। করোনার অতিসংক্রমণশীল ধরন অমিক্রনের একটি উপধরন বিএফ.৭ ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের সব প্রবেশপথগুলোতে সতর্কতা জারি করেছে।

কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি কয়েকটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপগুলোর পাশাপাশি ব্যক্তিপর্যায়ে সচেতনতা এবং সাবধানতা অবলম্বন না করা গেলে আবারও ডেল্টা এবং অমিক্রনের মতো অবস্থা হতে সময় নেবে না।

চীনে করোনার সংক্রমণ আবারও বেড়েছে। দেশটিতে করোনাসংক্রান্ত বিধিনিষেধ জোরদার করা হয়েছে। ধাক্কা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সে দেশের সরকারকে। রোগীর চাপে বেহাল হাসপাতালগুলো। মরদেহ সৎকারে বেগ পেতে হচ্ছে সৎকারকর্মীদের। এরই মধ্যে চীনের শ্যানডং প্রদেশের কুইংদাও শহরের এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শহরটিতে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ লাখের মতো মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। অন্য অনেক শহরের অবস্থাও প্রায় একই। চীনে এই অবস্থার কারণ অমিক্রনের উপধরন বিএফ.৭।

তবে বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে, পাশের দেশ ভারতেও এই উপধরনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, বিএফ.৭ নামের নতুন এই ধরন এযাবতকালের সবচেয়ে অতিসংক্রমণশীল। অমিক্রনের চেয়েও চার গুণ বেশি সংক্রমক। একজন রোগী একই সময় ১৮ জনকে সংক্রমিত করতে পারে, যা অমিক্রণের আগের ধরনটি করতে পারত চারজনকে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেন, চীনে বিএফ.৫-এর নতুন ধরন বিএফ.৭ শনাক্ত হয়েছে। ধরনটি অমিক্রনের চেয়ে শক্তিশালী। কম সময়ে বেশি মানুষকে এই ধরন আক্রান্ত করতে পারে। যারা টিকা নেননি তাদের জন্য এটা বেশি ভয়ঙ্কর। তাই সবাইকে দ্রুত টিকা নিতে হবে।

অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেন, বর্তমানে রোগী শনাক্ত হচ্ছে খুবই কম। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ছয়জন, তার আগের দিন সাতজন। তবে এই ছয় কিংবা সাতজন সাত-আট হাজার হতে খুব বেশি সময় নাও লাগতে পারে। আমাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, চীনের উহানের গুটিকয়েক মানুষের কাছ থেকে সারা বিশ্বে করোনা ছড়িয়েছিল, রূপ নিয়েছিল মহামারির।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত তিনজন শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চে করোান আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়। পরের বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেয়া হয়।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ