36 C
আবহাওয়া
২:২০ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বৃটেনে ফিরতে পারবেন না আইএস পত্নী শামীমা

বৃটেনে ফিরতে পারবেন না আইএস পত্নী শামীমা

বৃটেনে ফিরতে পারবেন না আইএস পত্নী শামীমা

বিএনএ,বিশ্ব ডেস্ক: লন্ডন থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় যাওয়া শামীমা বেগম আর বৃটেনে ফিরতে পারবেন না।শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি)এ রায় ঘোষণা করে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

রায়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা বলেন,জন-নিরাপত্তার কারণে এই মামলার যৌক্তিক শুনানি হওয়া অসম্ভব। এই কারণে আদালত সাধারণভাবে এটি শুনতে পারে না।

নাগরিকত্ব বাতিল হওয়ার সিদ্ধান্ত আইনগতভাবে মোকাবিলায় ব্রিটেনে ফিরে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন শামীমা বেগম।বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই তরুণীর আইনজীবীদের যুক্তি ছিল,শুনানিতে অবাধে অংশ নিতে না পারলে শামীমার নাগরিকত্ব স্বয়ংক্রিয়ভাবে বহাল হয়ে যাবে।

২০১৯ সালে বৃটেনে ফেরার চেষ্টা করেন এই তরুণী।তবে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তার নাগরিকত্ব বাতিল করে দেয় দেশটির সরকার।এরপর বিষয়টি আদালতে গড়ায়।পরে গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করার সিদ্ধান্তকে বৈধ বলে রায় দেন বৃটেনের একটি আদালত।

আইএসে যোগ দিতে মাত্র ১৫ বছর বয়সে স্কুলের দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বৃটেন ছেড়ে সিরিয়ায় পাড়ি জমান শামীমা।ছয় বছর পর দেশটির সর্বোচ্চ আদালত তার ফেরা নিয়ে এ সিদ্ধান্ত জানাল।

বিবিসি বাংলা জানায়,সর্বসম্মত রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে- ব্রিটেনে ফিরতে না দিয়ে সরকার শামীমা বেগমের অধিকার লংঘন করেনি।শামীমা এখন উত্তর সিরিয়ায় সশস্ত্র রক্ষীর প্রহরাধীন একটি শিবিরে বাস করছেন।

বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পূর্ব লন্ডনের আরও দুজন স্কুলপড়ুয়া মেয়েসহ বৃটেন ত্যাগ করে তুরস্ক হয়ে সিরিয়া চলে যান, এবং ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ দেন।তখন শামীমা বেগমের বয়স ছিল ১৫ বছর।সেখানে তিনি একজন ডাচ জিহাদিকে বিয়ে করেছেন।  জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে দু বছর আগে তার নাগরিকত্ব বাতিল করে দেন ব্রিটেনের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ।

শামীমা বেগম বর্তমানে সিরিয়ার একটি ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক রয়েছেন।সিরিয়ায় তিনি একজন আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করার পর স্ব-ঘোষিত খেলাফতের রাজধানী রাক্কায় বসবাস শুরু করেন।বৃটেন ত্যাগ করার পর সিরিয়ায় তার তিনটি সন্তানের জন্ম হয়।যদিও তিনটি সন্তানই মারা গেছে।

শামীমার মামলাটি বৃটেনে ব্যাপক বিতর্কের বিষয়ে পরিণত হয়েছে।অনেকে বলছেন, আইএস এ যোগ দেয়ার কারণে তাকে রাষ্ট্রহীন করা উচিত নয়।তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখী করার পক্ষপাতী এই মতবাদের লোকেরা।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ