28.2 C
আবহাওয়া
৮:১২ অপরাহ্ণ - অক্টোবর ৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রসিক নির্বাচন: রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে প্রচারণা

রসিক নির্বাচন: রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে প্রচারণা


বিএনএ, রংপুর: রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন আগামী ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সে অনুযায়ী আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণার শেষ দিন আজ।  রোববার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ১২টা থেকে নির্বাচনী আচরণ বিধি অনুযায়ী গণসংযোগ, পথসভাসহ সব ধরনের প্রচারণা বন্ধ থাকবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন। তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আজ রাত ৮টা থেকে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সব ধরনের নির্বাচনী মাইকিং ও মধ্যরাত থেকে প্রচার-প্রচারণা বন্ধ হবে। এছাড়া আজ রাত ১২টার পর থেকে আগামী ২৭ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত রসিক এলাকায় মোটারসাইকেল, ইঞ্জিনচালিত ইজিবাইকসহ ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার ও নির্বাচনি কাজে ব্যবহৃত যানবাহন ব্যতীত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।

তিনি আরও জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা থাকবে। ইভিএমে ভোটদানের ক্ষেত্রে ভোটারদের জন্য ইতোমধ্যে সব ওয়ার্ডে মকভোটিংসহ জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের বিষয়ে তিনি বলেন, রসিকে ২২৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।

প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে অস্ত্রসহ পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন থাকবে। অস্ত্র ছাড়াও পুলিশ, বিজিবি ও আনছার সদস্যরাও সার্বক্ষণিক কেন্দ্রে অবস্থান করবে। এর বাইরে পুরো রসিক এলাকায় ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। আর টহল টিমের পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন এর জন্য সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে। ভোটার ছাড়া অন্য কেউ ভোট কক্ষের গোপন বুথে প্রবেশ করতে পারবে না। প্রবেশ করলেই সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়বে এবং তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

২০১২ সালের ২৮ জুন ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত হয় রংপুর সিটি করপোরেশন। গঠনের পর ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমবার এক লাখ ৬ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সদ্য সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা পেয়েছিলেন ৭৭ হাজার ৮০৫ ভোট এবং বিএনপি নেতা কাওসার জামান বাবলা পেয়েছিলেন ২১ হাজার ২৩৫ ভোট।

২০১২ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন তিন লাখ ৫৭ হাজার ৭৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭৯ হাজার ১২৮ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৭৮ হাজার ৬১৪ জন। দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর দলীয় প্রতীকে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এক লাখ ৬০ হাজার ৪৮৯ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু পেয়েছিলেন ৬২ হাজার ৪০০ ভোট এবং বিএনপির প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা পেয়েছিলেন ৩৫ হাজার ১৩৬ ভোট। ওই বছর ভোটার সংখ্যা ছিল তিন লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৯৬ হাজার ৩৫৬ ও নারী এক লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৮ জন। এবার ভোটার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে চার লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন এবং নারী ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন। তৃতীয় দফায় ২৭ ডিসেম্বর ২২৯টি কেন্দ্রের ১৩৪৯টি কক্ষে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে জাতীয় পার্টির মোস্তাাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মন্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।এছাড়া সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৮ এবং ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৮৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ