30 C
আবহাওয়া
৬:৫৬ পূর্বাহ্ণ - সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ‘পিন কোড যোগ-বিয়োগে গ্রাহকের অর্ধকোটি টাকা হাওয়া’

‘পিন কোড যোগ-বিয়োগে গ্রাহকের অর্ধকোটি টাকা হাওয়া’

পিন কোড যোগ-বিয়োগে গ্রাহকের অর্ধকোটি টাকা হাওয়া

বিএনএ ডেস্ক: উপবৃত্তি দেয়ার নামে অভিনব কায়দায় প্রতারণা চক্রের ১২ সদস্যকে শনাক্ত করেছেন সিআই। চক্রের প্রধান আশিকুর রহমানসহ (২৫) তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছেন তারা।

বুধবার (২৫ মে) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

তিনি বলেন, প্রতারক চক্রের সদস্যরা গণহারে বিভিন্ন নাম্বারে মেসেজ পাঠায়। শিক্ষাবোর্ডের নামে ভুয়া নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ করতে বলে। সরলমনা শিক্ষার্থী বা অভিভাবক তাদের ফাঁদে পা দিলে প্রতারিত হতে হচ্ছে তাদের।

সিআইডি জানায়, প্রতারিত ব্যক্তি ও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে প্রতারণায় ১২ জনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছেন তারা। আশিকুর রহমান প্রতারক চক্রের প্রধান। তিনি ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার কাউলিবেড়ার মটরা আবু কলাম মোল্লার ছেলে।

মুক্তাধর জানান, মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল থেকে আশিকুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাইফুল ইসলাম (৩০) ও মোক্তার হোসেন (৩৪) নামে আরও দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারকরা জানায়, প্রায় ৩/৪ বছর ধরে বিভিন্ন শিক্ষার্থীর মোবাইল নাম্বারে মেসেজ দিয়ে তারা প্রতারণা করে আসছিল। প্রথমে তারা শিক্ষাবোর্ডের নামে টার্গেট করা মোবাইল নাম্বারে মেসেজ দিয়ে যোগাযোগের নাম্বার হিসেবে চক্রের সদস্যের নাম্বার দেয়। শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের উপবৃত্তির টাকা দেয়া হচ্ছে বলে প্রলোভন দেখিয়ে পিনকোড নিয়ে বিভিন্ন অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।

প্রতারণার কৌশল…

সিআইডি জানায়, চক্রের সদস্য থাকে ৩/৪ জন। এদের মধ্যে প্রথম সদস্য বিকাশ, নগদ বা রকেটের দোকানে টাকা বিকাশ করার কথা বলে দোকানে অবস্থান নেয়। কৌশলে বিকাশ গ্রাহকের লেনদেনের খাতার ছবি তুলে নেয়। ওই ছবি ইমো, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় সদস্যের কাছে পাঠিয়ে দেয়।

দ্বিতীয় সদস্যের তখন কাজ হয় পিন কোড সংগ্রহ করা। সে ভিকটিমকে কল করে কথাবার্তার মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে। এক পর্যায়ে উপবৃত্তির যে পরিমাণ টাকা দেয়া হবে তার সঙ্গে পাঠানো পিন কোডটি যোগ বা বিয়োগ করে সংখ্যাটি জানাতে বলা হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ফাঁদে পড়ে পিন কোডটি যোগ-বিয়োগ করে জানিয়ে দেন ওই ব্যক্তি।

তৃতীয় সদস্য তখন বিকাশ, নগদ বা রকেট অ্যাপ সাপোর্ট করে এমন অ্যান্ড্রয়েড ফোনের অ্যাপটি লগ-ইন করলে ভেরিফিকেশন কোড যায়। তখন দ্বিতীয় সদস্য কর্তৃক ভেরিফিকেশন সংগ্রহ করা কোড নাম্বার ব্যবহার করে চক্রের ভুক্তভোগীর মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপসটি সক্রিয় করে। তাৎক্ষণিকভাবে চক্রের তৃতীয় সদস্য ওই টাকা তাদের দলনেতা আশিকসহ বিভিন্ন জনের নাম্বারে সেন্ড মানি ও ক্যাশ আউট করে প্রত্যেক সদস্য বণ্টন করে নেয়।

প্রতারণায় ব্যবহার হচ্ছে ভুয়া নিবন্ধিত সিম

মুক্তা ধর জানান, প্রতারক চক্রের প্রধান আশিক ভুয়া এনআইডিতে রেজিস্ট্রেশন করা সিমগুলো সংগ্রহ করে সদস্যদের সরবরাহ করে থাকে। যে কারণে তাদের শনাক্ত করাটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য কঠিন। গত ২/৩ বছরে চক্রটি ভুক্তভোগীদের ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিয়েছে অর্ধ কোটি টাকা। সেই টাকায় বিলাসবহুল জীবনযাপন করে আসছিলেন তারা।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন। রুনা খাতুন নামে প্রতারিত এক  ভুক্তভোগীর রাজধানীর লালবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

বিএনএ/এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ