35 C
আবহাওয়া
১:৩৪ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর

পিলখানা

বিএনএ, ঢাকা : আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার)। ২০০৯ সালের এই দিনে পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে শুরু হওয়া গণহত্যায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। বিপথগামী সদস্যরা কিছু দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্মম হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে তাণ্ডব চালায়।

ওই ঘটনার পর পরিবর্তন করা হয় এই বাহিনীর নাম। সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)’র নাম বিলুপ্ত করে নামকরণ হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরিবর্তন করা হয় পোশাক ও লোগো।

দিবসটি উপলক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কোরআনখানি, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করবে বলে বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সকাল ৯টায় রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধিরা।

দিবসটি উপলক্ষে সকল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) স্থাপনায় বিজিবির পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং বিজিবি সদস্যরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।

এ ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, তিন বাহিনীর প্রধান- সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান-বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. শাফিনুল ইসলাম ও নিহত কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরাও নিহত সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

এ ঘটনায় হত্যা মামলার বিচার ১৪ বছরেও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি। বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের রায়ের পর মামলাটি এখন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

আসামিপক্ষ বলছে, শুনানির জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আর রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, চলতি বছরেই আপিল শুনানি শুরু হতে পারে, এর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে। এদিকে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলাটি বিচারিক আদালতে এখনো সাক্ষ্য পর্যায়ে রয়েছে।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদস্যরা পিলখানায় কিছু দাবির ধুয়া তুলে সশস্ত্র বিদ্রোহ করে। সেদিন সকাল ৯টা ২৭ মিনিটের দিকে বিজিবির বার্ষিক দরবার চলাকালে দরবার হলে ঢুকে পড়ে একদল বিদ্রোহী সৈনিক। এদের একজন তৎকালীন মহাপরিচালকের বুকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে। এরপরই ঘটে যায় ইতিহাসের সেই নৃশংস ঘটনা।

বিদ্রোহী সৈনিকরা সেনা কর্মকর্তাদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মুহুর্মুহু গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে রাজধানীবাসী। জিম্মি অবস্থায় ফোনে অনেকেই বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন, সাহায্য চেয়েছেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি তাদের। রক্তে ভেসে যায় পিলখানা। তারা সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে তাদের পরিবারকে জিম্মি করে রাখে। পুরো পিলখানায় এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। চারটি প্রবেশপথ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আশপাশের এলাকায় গুলি ছুড়তে থাকে তারা।

তাদের উন্মত্ততার শিকার হয়ে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরিণত হয় ‘পিলখানা হত্যা দিবস’।

বিএনএনিউজ/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ