বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন,বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে ৭৮৮.১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের মধ্যে ৫৫৪.১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সোলার হতে আসে। ২০২৫ সালের মধ্যে ২৮টি নির্মাণাধীন সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে আরো প্রায় ১৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। বাংলাদেশে ১২% জনগণকে ৬.০২ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে পরিষ্কার বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার(২৪মে) অনলাইনে ‘পঞ্চম এনার্জি ট্রানজিশন কাউন্সিলের মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন : বায়ু ও সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে তুরস্কের ব্যাপক সফলতা
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ছাদে সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেট মিটারে সংযুক্ত রয়েছে। সৌর সেচ পাম্প ও ০.৩ মিলিয়ন সোলার স্ট্রিট লাইট রয়েছে। অনশরে উইন্ড পাওয়ার প্রজেক্ট নির্দেশিকা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। ইলেক্ট্রিক ভেহিক্যাল চার্জিং নির্দেশিকা পরিবহণ খাতকে ডি-কার্বনাইজ করতে কার্যকর অবদান রাখবে।
সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনায় সবুজ জ্বালানির প্রসারে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। খসড়া এই মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত হলে ভবিষ্যতে কার্বন নিঃসরণের নেট-শূন্য দৃশ্যকল্প পরিষ্কার হবে। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনায়ও বাংলাদেশ পরিষ্কার জ্বালানির রূপান্তরকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০% বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে ভিশনারি ও সাহসী লক্ষ্যমাত্রা পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা বাস্তবায়নে প্রয়োজন ব্যাপক বিনিয়োগ। এনার্জি ট্রানজিশন কাউন্সিল ও ক্লাইমেট ফান্ড সহযোগিতা করলে এ লক্ষ্যমাত্রাকে দৃশ্যমান করা সম্ভব হবে।
যুক্তরাজ্যের ব্যবসা, জ্বালানি ও শিল্প কৌশল বিভাগের প্রতিমন্ত্রী Greg Hands-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে কপ-২৬-এর প্রেসিডেন্ট ও সংসদ সদস্য Alok Sharma, নাইজেরিয়ার বিদ্যুৎ মন্ত্রী Goddy Jedy Agba, মরক্কোর টেকসই উন্নয়ন মন্ত্রী Benali, লাউসের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপমন্ত্রী Souphanouvong এবং কেনিয়ার কেবিনেট সেক্রেটারি Juma সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।
বিএনএনিউজ২৪,জিএন