27 C
আবহাওয়া
১০:০৩ পূর্বাহ্ণ - অক্টোবর ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চট্টগ্রামে ভাণ্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পটির উৎপাদন পিছিয়েছে

চট্টগ্রামে ভাণ্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পটির উৎপাদন পিছিয়েছে

চট্টগ্রামে ভাণ্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পটির উৎপাদন পিছিয়েছে

বিএনএ, চট্টগ্রাম: ২০২৩ সালের নভেম্বরে ওয়াসার ভাণ্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পটি উৎপাদনে যাওয়ার আশা করেছিল ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রকল্পের অন্যসব কাজ শেষ হলেও পশ্চিম পটিয়া কালারপুল ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় কিছু জায়গার মালিকানা নিয়ে জেলা পরিষদ ও স্থানীয় একটি মাদ্রাসার মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে দীর্ঘ চার মাস পাইপলাইন বসানোর কাজ করতে পারেনি ওয়াসা। শিকলবাহা খালের মাটির তলদেশে প্রায় ৮০ ফুট নিচ দিয়ে একটি পাইপলাইন বসাতে গিয়ে এ চ্যালেঞ্জে পড়ে ওয়াসা। এ কারণে প্রকল্পের প্রায় সব কাজ শেষ করার পরও উৎপাদনে যেতে পারেনি। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে পশ্চিম পটিয়া কালারপুল ব্রিজ সংলগ্ন শিকলবাহা খালের মাটির তলদেশে ২৪ মিটার গভীরে ২৪৭ মিটার দৈর্ঘ্য পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু করে ওয়াসা। খালের গভীরে দেড় মিটার টানেলের ভিতর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পানি সরবরাহ পাইপলাইন। দীর্ঘ পৌনে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে এ কাজে পদে পদে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে সরকারি সেবা সংস্থাটিকে।

ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহম্মদ মাহবুবুল আলম বলেন, পশ্চিম পটিয়া কালারপুল ব্রিজ সংলগ্ন শিকলবাহা খালের মাটির তলদেশ দিয়ে প্রকল্পের পানি সরবরাহ পাইপলাইন বসানোর কাজ চলাকালে জেলা পরিষদ ও স্থানীয় একটি মাদ্রাসার মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে দীর্ঘ চার মাস পাইপলাইন বসানোর কাজ করতে পারেনি ওয়াসা। পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত সৃষ্ট সমস্যা নিরসন হলে ওয়াসা গত মে থেকে পুনরায় কাজ শুরু করে। খালের ক্রসিংয়ে ২৪৭ মিটার দৈর্ঘ্য পাইপলাইনের মধ্যে ইতোমধ্যে সবগুলো পাইপলাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এখন পাইপলাইনের চেম্বার পয়েন্টে সংযোগের কাজ চলছে। যদিও এটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এতে আরো ৩ থেকে ৪ মাস সময় লাগতে পারে। এরপর পানি উৎপাদনে যাবে প্রকল্পটি।’

ওয়াসা সূত্র জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তাইইয়ং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এ প্রকল্পের কাজ করছে। প্রায় এক হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটি দক্ষিণ কোরিয়ার এক্সিম ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ওয়াসার পানি উৎপাদন বাড়বে দৈনিক আরো ৬ কোটি লিটার। যা সরবরাহ হবে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে। পটিয়া, কর্ণফুলী ও আনোয়ারায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, সরকারি ও বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, কোরিয়ান ইপিজেডসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় পানি সরবরাহের জন্য ভাণ্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বোয়ালখালীর শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জ্যৈষ্ঠপুরা গ্রামে কর্ণফুলী নদীর পাড়ে এই প্রকল্পের জন্য পানি শোধনাগার তৈরি করা হয়েছে। সেখান থেকে কর্ণফুলী নদীর বাম তীরে অবস্থিত শিল্পকারখানা ও আবাসিক এলাকায় পানি সরবরাহ করা হবে।

চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, ‘বাণিজ্যিক গ্রাহক ছাড়াও এ প্রকল্পের অধীনে প্রায় ১০ হাজার আবাসিক গ্রাহক সংযোগ দেওয়ার টার্গেট করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সংযোগ নিয়েছে ১২০০ গ্রাহক। ২০১৯ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে ওয়াসাকে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। পশ্চিম পটিয়া কালারপুল ব্রিজ সংলগ্ন শিকলবাহা খালের মাটির তলদেশে পানি সরবরাহ পাইপলাইনের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এটির কাজ শেষ হলে ভাণ্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পটি উৎপাদনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

বিএনএনিউজ/ রেহানা/ বিএম/ হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ