38 C
আবহাওয়া
৪:৪৫ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ২৮ সেপ্টেম্বর সিনহা হত্যা মামলার চতুর্থ ধাপের সাক্ষ্যগ্রহণ

২৮ সেপ্টেম্বর সিনহা হত্যা মামলার চতুর্থ ধাপের সাক্ষ্যগ্রহণ

সিনহা হত্যা মামলা, নিজেদের নির্দোষ দাবি করলেন ১৫ আসামি

বিএনএ ঢাকা: দেশের আলোচিত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা সিনহা মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছে আদালত। ২৮ সেপ্টেম্বর শুরু হবে চতুর্থ পর্যায়ের সাক্ষ্যগ্রহণ।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ১০ টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাঈলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল পাঁচটায় শেষ হয়।

বুধবার আদালতে সাক্ষ্য দেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার, সার্জেন্ট আইয়ুব আলী ও ইমাম সালে আহমদ।

আদালতের এক সূত্র জানিয়েছে, তৃতীয় দফায় শেষ দিনে সাক্ষী সামরিক শাখার কর্মকর্তা সার্জেন্ট আয়ুব আলী সাক্ষ্য দেয়ার সময় আদালতকে জানিয়েছেন, ঘটনার পর খবর শুনে সেখানে ( ঘটনাস্থলে ) যান তিনি। সে সময় ঘটনার পরবর্তী সেখানকার চিত্র নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ধারণ করতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন এবং মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়। মূলত ওই সময়ে পুলিশ কর্তৃক হত্যার ঘটনা ধামাচাপা তার সঙ্গে বিরুপ আচরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সংবাদ মাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।

তিনি বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী বিচার কাজকে দীর্ঘ করতে আদালতে বার বার বিভিন্ন অজুহাতে দরখাস্ত দিয়ে যাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে বুধবার আরও একটি দরখাস্ত দেন তারা। কিন্তু, দেশের একটি বড় সংস্থার গোপন নথি চাওয়ায় আদালত সেটি নাকচ করে দিয়েছে।

আসামি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত বলেন, মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের সময় এক সামরিক সংস্থার গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছিলেন, ওই প্রতিবেদনটি চেয়ে আদালতের কাছে দরখাস্ত দেয়া হয়েছিল। আদালত তা নাকচ করেছে। এছাড়া, মামলার সাক্ষী সেনা কর্মকর্তা সার্জেন্ট আয়ুব আলীকে জেরা করা থেকে বিরত থেকেছেন বলে জানান তিনি।

এদিকে, তৃতীয় ধাপের প্রথম দিনে জবানবন্দি দিয়েছেন আব্দুল হামিদ, মোহাম্মদ ফিরোজ ও শওকত আলী নামে তিনজন। দ্বিতীয় দিন সাক্ষ্য দেন মারিশবনিয়া মসজিদের ইমাম হাফেজ জহিরুল ইসলাম ও ডা: রণবীর দেবনাথ। তাদেরকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

এর আগে গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট টানা তিনদিন মামলার প্রথম দফায় ১নম্বর সাক্ষী ও বাদি শারমিন সাহরিয়া ফেরদৌস ও ২নম্বর সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। একইভাবে গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর টানা ৪ দিনে দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করে আদালত। বুধবার তৃতীয় দফার শেষদিন পর্যন্ত ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তাদেরকে জেরাও শেষ করেছে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

উল্লেখ্য যে, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান।

এ ঘটনায় মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই  তিনটি মামলা করে পুলিশ। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়, একটি রামু থানায়। ঘটনার পাঁচ দিন পর কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।

২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশের ৯ সদস্য। তারা হলেন, বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেব নাথ।

অপর আসামিরা হলেন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও মো. আব্দুল্লাহ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশের করা মামলার সাক্ষী নুরুল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

গ্রেফতার হওয়া আসামিদের মধ্যে ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। এর আগে আসামিদের তিন দফায় ১২ থেকে ১৫ দিন রিমাণ্ডে নেয়া হয়েছিল।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

Loading


শিরোনাম বিএনএ