33 C
আবহাওয়া
৬:৪০ অপরাহ্ণ - মে ১৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রাবিতে প্রক্সিকাণ্ডে ভর্তি বাতিল, ছাত্রলীগের তিন নেতা-কর্মী বহিষ্কার

রাবিতে প্রক্সিকাণ্ডে ভর্তি বাতিল, ছাত্রলীগের তিন নেতা-কর্মী বহিষ্কার


বিএনএ, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করে ভর্তি হওয়া এক শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল ও জালিয়াতিতে সহায়তাকারী তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

ভর্তি বাতিল হওয়া শিক্ষার্থী হলেন মো. আহসান হাবীব। তিনি ২০২২-২৩ শিক্ষা বর্ষের পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগে নতুন ভর্তি হয়েছিলেন। তবে ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করে ভর্তি হওয়ার বিষয়টি প্রমানিত হওয়ায় তার ভর্তি বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ, লোক প্রশাসন বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মহিবু মমিন সনেট এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকোয়ান সিদ্দিক প্রাঙ্গণ।

এর মধ্যে রাজু আহমেদ রাবির শের-ই বাংলা ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, মহিবু মমিন সনেট রাবির শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী, শাকোয়ান সিদ্দিক প্রাঙ্গণ শের-ই বাংলা ফজলুল হক হল শাখার কর্মী ছিলেন।

এদিকে সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলাপরিপন্থি, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে চারজনকে বহিষ্কার করা হয়। শনিবার (১৯ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রক্সি চক্রের একটি গ্রুপের সঙ্গে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা চুক্তি করেন আহসান হাবীব নামের এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা নগদ ও ৬০ হাজার টাকার চেক পরিশোধ করেন তিনি। ভর্তির পর বাকি টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভর্তি শেষে বাকি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে আটকে রেখে শিক্ষার্থীর বাবার কাছে আরও তিন লাখ টাকা দাবি করে ওই প্রক্সি চক্র। তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতনও করা হয়।

এজাহারে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত আহসান হাবীব পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স বিষয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য তার মায়ের সঙ্গে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু বিজ্ঞান ভবনে আসেন। ভর্তি হওয়ার পর ওই ভবন থেকে বের হলে দুপুর পৌনে ৩টায় অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন ব্যক্তি তাকে কৌশলে অপহরণ করে। শের-ই-বাংলা আবাসিক হলের তৃতীয় তলায় নিয়ে আটকে রাখা হয় তাকে। সেখানে অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীর বাবার কাছে ফোন করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। টাকা না দিলে গুম করার হুমকিও দেওয়া হয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডির লোকজনের সহায়তায় বিকেল সাড়ে ৫টায় শের-ই-বাংলা হলের ভেতর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হাবীব স্বীকার করেন, নিজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে প্রক্সি পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান। তবে তার প্রক্সি পরীক্ষা কোন পরীক্ষার্থী দিয়েছে তা জানাতে পারেননি।

বিএনএ/সাকিব, এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ