28 C
আবহাওয়া
১:২৩ পূর্বাহ্ণ - মে ১১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কোরবানির গরু কেনার সময় যা যা খেয়াল রাখবেন

কোরবানির গরু কেনার সময় যা যা খেয়াল রাখবেন

কোরবানির গরু কেনার সময় যা যা খেয়াল রাখবেন

বিএনএ, ডেস্ক: পবিত্র ঈদ উল আযহা বৃহস্পতিবার (২৯ জুন)। এদিন গরু-মহিষ-ছাগল-ভেড়া কোরবানি দিবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। কোরবানির ঈদের সময় অবৈজ্ঞানিক উপায়ে মোটাতাজাকৃত গরু কোরবানি দিয়ে এবং মাংস বিক্রি হয়ে থাকে। অতিরিক্ত হরমোন দেওয়া গরুর মাংস আগুনেও হরমোনমুক্ত হয় না। এমন গরুর মাংস খাওয়া খুবই বিপজ্জনক। ফলে বিভিন্ন রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হতে হয়। কোরবানির গরু কেনা নিয়ে তাই অনেকে ভয়েও থাকেন। তবে যদি আপনি ট্যাবলেট বা হরমোন পুশ করা গরু চেনার উপায় আগেভাগেই জেনে নেন তাহলে ভয়ের আর কোনো কারণ থাকে না।

কীভাবে ভালো গরু বাছাই করবেন
১। কোরবানির গরু কিনতে যাওয়ার সময় অভিজ্ঞ কাউকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া উচিত, যিনি ভালো ও সুস্থ গরু সঠিক চিনতে পারেন।
২। পশু কেনার আগে এর শরীরের কোথাও ক্ষত আছে কি না, পরীক্ষা করে নিন। শিং ভাঙা আছে কি না, লেজ, মুখ, দাঁত, খুর এসব কিছুই পরীক্ষা করে দেখুন, কোনো খুঁত চোখে পড়ে কি না।
৩। কোরবানির পশুর ক্ষেত্রে বয়স গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। গরুর ক্ষেত্রে বয়স কমপক্ষে দুই বছর হওয়া দরকার। সাধারণত এটা গরুর দাঁত দেখে বোঝা যায়। সুস্থ পূর্ণবয়স্ক গরুর দাঁত দেখে ৫ বছর পর্যন্ত বয়স শনাক্ত করা যায় নিখুঁতভাবে। ২ বছর বয়সী একটি সুস্থ গরুর দুটি স্থায়ী কর্তন দাঁত থাকে, ৩ বছর বয়সে চারটি, ৪ বছর বয়সে ছয়টি ও ৫ বছর বয়সে পুরো মুখে সর্বমোট আটটি স্থায়ী কর্তন দাঁত থাকে। দাঁতগুলো অক্ষত এবং দেখতে সুন্দর হয়।
৪। শরীরে অতিরিক্ত পানি জমার কারণে হরমোন দেওয়া গরু বেশি মোটা দেখায়। এদের গায়ে আঙুল দিয়ে চাপ দিলে সেখানে দেবে গর্ত হয়ে থাকে অথবা সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে না।
৫। ছাগলের ক্ষেত্রে বয়স কমপক্ষে এক বছর হওয়া উচিত। উটের ক্ষেত্রে কমপক্ষে পাঁচ বছর ভেড়ার ক্ষেত্রে কমপক্ষে এক বছর বয়স হতে হবে, তবে ছয় মাস বয়সী ভেড়া যদি বড়সড় হয় অর্থাৎ যদি দেখতে এক বছর বয়সের মতো দেখায় তাহলে সেই ভেড়া কোরবানি করা যাবে।
৬। দিনের আলো থাকতেই পশু কেনা ভালো। কেননা, রাতের বেলায় পশু রোগাক্রান্ত নাকি সুস্থ তা ভালোভাবে বোঝা যায় না এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অসুস্থ গরু কেনার সম্ভাবনা থাকে।
৭। পশুর মুখের সামনে কিছু খাবার ধরে দেখুন। সুস্থ পশু হলে নিজ থেকে জিভ্ দিয়ে খাবার টেনে নিয়ে খেতে থাকবে। অসুস্থ পশু সচরাচর খাবার খেতে চায় না।
৮। পশুর নাকের দিকে লক্ষ করুন। সুস্থ পশুর নাকের ওপরটা ভেজা ভেজা থাকে।
৯। গর্ভবতী গরু কোরবানি দেওয়া হারাম। তাই সবার আগে সেটা নিশ্চিত হয়ে নিন।
১০। সুস্থ পশুর পিঠের কুঁজ মোটা ও টান টান হয়।
১১। গরু কেনার ক্ষেত্রে দেশি গরু কেনা ভালো। বাইরের গরুগুলো ভ্রমণের কারণে বেশ ক্লান্ত থাকে, অনেক সময় ছোটখাটো আঘাতপ্রাপ্তও হয়। আর এই ধরনের ঝিমাতে থাকা গরু সুস্থ নাকি অসুস্থ সেটা বোঝা বেশ কঠিন।
১২। সাধারণত বড় সাইজের গরুগুলোকে ইনজেকশন বা হরমোন ট্যাবলেট খাওয়ানো হয় বেশি। তাই কোরবানি করার জন্য বড় গরু না কিনে মাঝারি আকারের গরু কেনা নিরাপদ।
১৩। মোটা গরু মানেই সুস্থ বা ভালো গরু নয়। মোটা গরুতে চর্বি অনেক বেশি থাকে, যা খেলে মানুষের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। আর অস্বাভাবিক মোটা গরু বিভিন্ন ওষুধ দিয়ে মোটাতাজাকৃত হতে পারে। তাই এ ধরনের গরু বর্জন করুন।

এসব বিষয় খেয়াল করে কোরবানির পশু কিনলে অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ থেকে বাঁচা সম্ভব। বিষয়গুলো জানা জরুরী।

বিএনএনিউজ/বিএম,/এইচ এইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ