বিএনএ ঢাকা: আগামি হজ সুন্দরভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজ নিজ কার্যক্রম সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামি বছরের ৮ জুলাই পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে-জানিয়ে তিনি বলেন, সৌদি-বাংলাদেশ হজ চুক্তির পর এই বিষয়ে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।
রোববার (২১ নভেম্বর) সচিবালয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র হজ সুন্দরভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ফরিদুল হক খান।
সে সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, করোনা ভাইরাস মহামারি পরিস্থিতির কারণে ২০২০ এবং ২০২১ সালে সৌদি আরবের বাইরের দেশ থেকে হজযাত্রীগণ সৌদি আরব যেতে পারেননি। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় পবিত্র ওমারহ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হতে বিপুল সংখ্যক ওমরাহ যাত্রী সৌদি সরকার প্রদত্ত স্বাস্থ্যবিধি ও অন্যান্য শর্তাবলি পালন সাপেক্ষে ওমরাহ পালন করছেন। সৌদি সরকার বাংলাদেশ হতে সিনোভ্যাক/সিনোফার্মা টিকা গ্রহণকারী ওমরাহ যাত্রীগণ ‘বুস্টার ডোজ’ ছাড়াই ওমরাহ্ পালন করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
এদিকে, বৈঠকে প্রাক-নিবন্ধনের বিদ্যমান অবস্থা, নিবন্ধিত হজযাত্রীদের বিদ্যমান অবস্থা, হজ প্যাকেজ, প্রাক নিবন্ধন ও নিবন্ধন কার্যক্রমের বর্তমান অবস্থা, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়, পাসপোর্ট, রোড টু মক্কা ইনিশিয়েটিভ, বাংলাদেশ থেকে ওমরা পালনের জন্য সৌদি আরবে গমনকারী ব্যক্তিগণকে বুস্টার ডোজ প্রদান, হজ যাত্রীদের জন্য টিকা ক্রয়, ইলেকট্রনিক হেলথ প্রোফাইল, হজের কার্যক্রম বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা, হজ এজেন্সি নবায়ন ও তালিকা প্রকাশসহ বিবিধ বিষয়ের করণীয় নির্ধারণ করা হয়।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান এনডিসি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সভায় অংশগ্রহণ করেন ধর্ম, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন, স্বাস্থ্য, তথ্য, সিভিল এভিয়েশন, স্বাস্থ্য অধিদফতর, হজ অফিস, ঢাকা ও জেদ্দা, পাসপোর্ট, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি), সোনালি ব্যাংক, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন ও হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর, সংস্থার প্রতিনিধিগণ।
বিএনএনিউজ/আরকেসি
