28 C
আবহাওয়া
৭:৩৩ পূর্বাহ্ণ - মে ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » আনোয়ারায় স্ত্রী হত্যা: ১৪ বছর পর ঘাতক স্বামী গ্রেপ্তার

আনোয়ারায় স্ত্রী হত্যা: ১৪ বছর পর ঘাতক স্বামী গ্রেপ্তার

আনোয়ারায় স্ত্রী হত্যা ১৪ বছর পর ঘাতক স্বামী গ্রেপ্তার

বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের আনোয়ারায় যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা ও মরদেহ গুমের অপরাধে হত্যাকারী ঘাতক স্বামী মামুনুর রশীদ(৫০)কে ১৪ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রাতে নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন ব্রিজঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামি মামুনুর রশীদ আনোয়ারা থানার কৈখাইন গ্রামের আব্দুল শুক্কুরের ছেলে।

শুক্রবার (২১ জুলাই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এ তথ্য জানায়।

র‌্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিহত কলি আক্তার বরগুনা জেলার তালতলী থানার নিদ্রারচর এলাকার বাসিন্দা। সে গত ২০০২ সালের জুন মাসে চট্টগ্রামে এসে একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করে আসছিল। এসময় মামুনুর রশীদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং ভুক্তভোগী তার পরিবারের কাউকে না জানিয়ে গত ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর পরিবার তাদের বিবাহের বিষয়টি মেনে নেয়। তাদের ঘরে একটি ৩ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। বিবাহের পর থেকে মামুনুর রশীদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুক দাবি করে আসছিল। মেয়ের সুখের আশায় সৌদি আরব যাওয়ার জন্য ঘাতক স্বামীকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেয়। উক্ত টাকা দিয়ে ঘাতক স্বামী উশৃঙ্খল জীবনযাপন করে নষ্ট করে ফেলে। মামুনুর রশীদ ডাকাতিসহ বিভিন্ন ফৌজদারী মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গেলে কলির পিতা-মাতা মেয়ের সুখের জন্য ঋণ করে মামুনুর রশীদকে ১ বছর ৮ মাস পর কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত করে। জামিনে মুক্ত হয়ে কর্মহীন অবস্থায় আরও ৫০ হাজার টাকার জন্য ভুক্তভোগী এবং তার পরিবারকে চাপ দেয়। ৫০ হাজার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্বামী মামুনুর রশীদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা ভুক্তভোগীকে মারধর ও নির্যাতন শুরু করে।

র‌্যাব আরও জানায়, গত ২০০৯ সালের ২৬ মে বিকাল আনুমানিক ৩টায় কলি আক্তারের মা ফোন করে তার মেয়ের খবর জানতে চাইলে ঘাতক স্বামী মামুনুর রশীদ জানায়, কলি আক্তার ডায়রিয়ায় আক্তান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর ঘাতক মামুনুর রশীদ মোবাইল ফোনে ভুক্তভোগীর মাকে জানায় তার মেয়ে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে এবং দাফন-কাফনও শেষ। কলি আক্তারের পিতা-মাতাকে না জানিয়ে দাফন করার কারণ জিজ্ঞাসা করলে মামুন কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীর পরিবার আশেপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারে যৌতুকের টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় কলি আক্তারকে হত্যা করে এবং হত্যার আলামত গোপন করার জন্য তাড়াহুড়া করে কাউকে না জানিয়ে দাফন করে ফেলে। উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানায় মামুনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করলে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে গোয়েন্দা নজরধারি অব্যাহত রাখে র‌্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় তাকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিএনএনিউজ/বিএম/ হাসনাহেনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ