26 C
আবহাওয়া
১১:৫২ অপরাহ্ণ - মে ৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়তি

বিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়তি

মুদ্রা

বিএনএ ডেস্ক: বৈশ্বিক মন্দায় সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছিল। মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাপী সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণের মাধ্যমে ভোক্তার চাহিদা কমানো হয়। পণ্যের দাম কমাতে উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি আমদানিও নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফলে অনেক দেশে বিশেষ করে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমতে শুরু করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে এ হার বাড়ছে। যদিও আলোচ্য সময়ে বাংলাদেশও সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ করেছে, আমদানি নিয়ন্ত্রণ করেছে। উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, বাংলাদেশ, মিসর, পাকিস্তান, জাপান, ভিয়েতনাম, আর্জেন্টিনায় খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল, মালদ্বীপে এ হার কমেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ছাড়া সব দেশেই খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমছে। বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বেশি এমন সব দেশেও এ হার কমতে শুরু করেছে।

সূত্র জানায়, খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার হ্রাস-বৃদ্ধির সঙ্গে বিভিন্ন দেশে নানা ধরনের কারণ জড়িত। তবে বাংলাদেশে মূলত পণ্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রভাবে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার কমছে না।

বাংলাদেশ পণ্য আমদানি করে এমন সব দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমায় আগামীতে এ দেশেও কমবে। কারণ এখনো বাংলাদেশ বিদেশ থেকে বেশি দামে পণ্য আমদানির নামে মূল্যস্ফীতি আমদানি করছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯ শতাংশে উঠেছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে তা কমে ৮ দশমিক ১ শতাংশে নামে। মার্চে তা আবার বেড়ে ৯ দশমিক ১ শতাংশ হয়। এপ্রিলে তা আবার কমে ৮ দশমিক ৮ শতাংশে নামে। মে মাসে আবার বেড়ে ৯ দশমিক ২ শতাংশে ওঠে। জুনে তা আরও বেড়ে ৯ দশমিক ৭ শতাংশে ওঠে।

বাংলাদেশের বৃহৎ প্রতিবেশী দেশ ভারতে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমতে শুরু করেছে। দেশটিতে গত সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ এ খাতে মূল্যস্ফীতির হার ৮ দশমিক ৪ শতাংশে উঠেছিল। এর পর থেকে তা কমছে। গত মে পর্যন্ত কমে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

ভুটানেও খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমতে শুরু করেছে। গত বছরের জুলাইয়ে ৫ দশমিক ৮ শতাংশে উঠেছিল। গত মার্চে তা কমে দশমিক ৮ শতাংশে নেমেছিল। এখন তা সামান্য বেড়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশ হয়েছে।

নেপালে গত সেপ্টেম্বরে এ হার সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ২ শতাংশ ওঠে। গত জানুয়ারি পর্যন্ত কমেছে। ফেব্রুয়ারিতে সামান্য বেড়ে মার্চে আবার কমেছে। এপ্রিলে বেড়ে মে মাসে আবার কমে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে।

পাকিস্তানে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার গত বছরের জুলাইয়ে ছিল ২৮ দশমিক ৮ শতাংশ। গত মে পর্যন্ত তা বেড়ে ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশে উঠেছে। জুনে সামান্য কমে ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশে নেমেছে।

মালদ্বীপে গত বছরের জুলাইয়ে ছিল ৬ শতাংশ। জানুয়ারিতে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৮ শতাংশে উঠেছিল। মার্চে তা আরও বেড়ে ৮ শতাংশে ওঠে। এর পর থেকে কমে এখন ৪ দশমিক ৭ শতাংশে নেমেছে।

তুরস্কে গত নভেম্বরে সর্বোচ্চ ১০২ শতাংশে উঠেছিল। এখন তা কমে ৫৪ দশমিক ১ শতাংশে নেমেছে। মিসরে এ হার বেড়ে যাচ্ছে। গত বছরের জুলাইয়ে ছিল ২২ দশমিক ৪ শতাংশ। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ দশমিক ৮ শতাংশ। ভিয়েতনামে গত জুলাইয়ে ছিল ২ দশমিক ৯ শতাংশ। এখন তা বেড়ে ১৩ দশমিক ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

জাপানে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে এখন ৯ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে। দেশটিতে এ হার বাড়ার কারণ হচ্ছে তারা নিজেদের মুদ্রা ইয়েনকে প্রতিযোগিতায় ধরে রাখতে বড় ধরনের অবমূল্যায়ন করেছে। রাশিয়াতে গত বছরের জুলাইয়ে ছিল ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ। গত এপ্রিলে তা শূন্যে নেমে আসে। মে মাসে নেতিবাচক পর্যায়ে নেমে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকায় একই সময়ে ছিল ১০ দশমিক ৪ শতাংশ। গত মার্চে তা ১৪ দশমিক ৫ শতাংশে ওঠে। এখন ১২ শতাংশে নেমেছে।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/ হাসনাহেনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ