বিএনএ ডেস্ক: স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় হুমায়ূন কবির নামে পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শককে (এএসআই) কারাগারে পাঠিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে হুমায়ূন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (দ্বিতীয়) বেগম আফরিন আহমেদ হ্যাপি। হুমায়ূন বর্তমানে লক্ষ্মীপুর জেলার হাজিরহাট তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত। এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানায় কর্মরত ছিলেন।
গত ১১ এপ্রিল যৌতুক দাবির অভিযোগে এএসআই হুমায়ূনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আদালতে মামলা করেন তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার।
পুলিশ জানায়, ২০১১ সালের ১৫ মে হুমায়ূনের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় খাদিজা আক্তারের। গত ৭-৮ মাস আগে নিজের পদোন্নতির কথা বলে শ্বশুরের কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন হুমায়ূন।
২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর হুমায়ূনের মোবাইলে অন্য এক মেয়ের অন্তরঙ্গ ছবি দেখে খাদিজা আক্তারকে জানায় তার মেয়ে। এ বিষয়ে খাদিজা জানতে চাইলে হুমায়ূন জানায়, ১০ লাখ টাকা না এনে দিলে মোবাইলে ছবির মেয়েটিকে তিনি বিয়ে করবেন। বিষয়টি নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেল অফিসে লিখিত অভিযোগ দিলে সেখান থেকে সমাধান করা হয়।
মামলার এজহারে বলা হয়, খাদিজার মা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেয়ের জামাইয়ের বাসায় বেড়াতে গেলে গত ৪ মার্চ হুমায়ূন তার শাশুড়ির কাছে নিজের পদোন্নতির কথা বলে পুনরায় ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অপরাগতা জানালে খাদিজার সঙ্গে সংসার করবেন না বলে সেদিন বাসা থেকে বের হয়ে যান হুমায়ূন।
বিএনএ/ এ আর