বিএনএ: বাংলাদেশ বিমানের ই-মেইল সার্ভার গত শুক্রবার র্যানসমওয়্যারে আক্রান্ত হলেও এখনো তা পুনরুদ্ধার করতে পারেনি সংস্থাটি। এ মুহূর্তে র্যানসমওয়্যার বিমানের প্রতিটি কর্মকর্তাকে পাঠানো সব ই-মেইলে প্রবেশ করতে পারছে। এসব ই-মেইলের মধ্যে উড়োজাহাজ, রুট, ক্রু, পাইলট, বিমানবন্দর, সময়সূচি, যাত্রী, ক্রয় ও বিলিং সম্পর্কে সংবেদনশীল তথ্য রয়েছে।
বিমানের একাধিক কর্মকর্তা জানান, শনিবার থেকে কার্যত তাদের হাতবাঁধা রয়েছে; এ বিষয়ে কিছুই করতে পারছেন না।
র্যানসমওয়্যার এক ধরনের ম্যালওয়ার, যা কোনো কম্পিউটারের তথ্যে প্রবেশ করে এবং সেটা প্রকাশ করে দেয়ার হুমকি দেয়। অথবা মুক্তিপণ হিসেবে অর্থ প্রদানের আগে পর্যন্ত ব্যবহারকারীকে তার ডিভাইসে প্রবেশের সুযোগ বন্ধ করে রাখে। এই র্যানসমের (মুক্তিপণ) পরিমাণ কয়েক হাজার থেকে কয়েক লাখ ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম জানান, ‘ম্যালওয়্যারটি মেইল সার্ভারকে এনক্রিপ্ট করেছে। তবে টিকিট সংরক্ষণ, টিকিট বিক্রি ও চেকিং নিয়ে কাজ করা সার্ভার আক্রান্ত হয়নি।
শফিউল আজিম জানান, প্রতিদিন তাকে বিমানের ই-মেইলের মাধ্যমে দেশের ভেতর ও বাইরে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। কিন্তু গত ২ দিন ধরে তিনি অন্ধকারে।
বিমান কর্মকর্তারা জানান, বিমানের ই-মেইল সার্ভারে বিঘ্ন ঘটার কারণে তারা বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। এমনকি দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে বিমানের আউটস্টেশনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায়নি। ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে না পারায় প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে সবকিছু। তবে কিছু কর্মকর্তা ম্যানুয়ালি কাজ চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন।
তবে বিমানের ই-মেইল সার্ভারে যা ঘটেছে, তা হ্যাকিং নয় বলে দাবি করেছেন শফিউল আজিম। বলেন, বিমানের ই-মেইল সার্ভার থেকে কোনো তথ্য বা উপাত্ত চুরি হয়নি। বিমানের ওয়েবসাইট, রিজার্ভেশন সিস্টেম এবং টিকিটিং সিস্টেম চালু আছে।
বিএনএনিউজ/এ আর
Total Viewed and Shared : 17