37 C
আবহাওয়া
৭:০০ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চট্টগ্রামে ছাদে স্থাপিত সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প

চট্টগ্রামে ছাদে স্থাপিত সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প

চট্টগ্রামে ছাদে স্থাপিত সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প

বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে (কেইপিজেড) ৪০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন দেশের একক বৃহত্তম রুফ-টপ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে এই প্রকল্প থেকে ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এখান থেকে কেইপিজেডের নিজস্ব চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। আগামী অক্টোবরের মধ্যে এই প্রকল্প থেকে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ।

রোববার (২০ জুন) কোরিয়ান ইপিজেডের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। সেসময় এটিকে দেশের মধ্যে বৃহত্তম একক ছাদ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বলে জানান মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুতের ৪০ শতাংশ আসবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে। এ জন্য সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবাইকে উৎসাহ দিচ্ছে। কেইপিজেড ১৬ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করে সাহসী উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রকল্প দেশের সব কারখানার ছাদে সৌরশক্তির ব্যবহার উৎসাহিত করবে।

অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কেয়ান বলেন, সৌরবিদ্যুৎ পরিবেশবান্ধব। কোরিয়ান ইপিজেডের এই প্রকল্প শুধু অর্থ সাশ্রয় করে না, ব্যবসার খরচও কমায়। প্রথম কোরীয় কোম্পানি হিসেবে ইয়ং ওয়ান চল্লিশ বছর আগে এ দেশে বিনিয়োগ শুরু করে। এটি শুধু কেইপিজেডের উন্নয়ন নয়, কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন বলে মনে করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে ইয়ংওয়ানের চেয়ারম্যান কি হাক সাং বলেন, কেইপিজেড কেবলমাত্র টেকসই উপায়ে তার ক্রমবর্ধমান শক্তির চাহিদা মেটাতে সূর্যের শক্তিকে শক্তিশালী করবে না বরং জাতীয় গ্রিডে যে কোনো উদ্বৃত্ত শক্তি সরবরাহ করবে। এখন ও পর্যন্ত ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের মধ্যে ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদন শুরু হয়েছে। এ বছরের শেষ দিকে আরও চার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শুরু হবে। আগামী বছর বাকি ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদন কাজ শুরু হবে।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কোরিয়ান ইপিজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজাহান। কোরিয়ান ইপিজেডের এই অনুষ্ঠানে অতিথিরা অনলাইনেও যুক্ত ছিলেন। উদ্বোধনের পর প্রকল্প থেকে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। এই সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার হবে কেইপিজেডের কারখানায়।

চট্টগ্রামের আনোয়ারার উপজেলায় বেসরকারি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল কোরিয়ান ইপিজেড। ১৯৯৯ সালে কেইপিজেডের জন্য জমি বরাদ্দ করা হয়। বরাদ্দ জমির পরিমাণ ২ হাজার ৪৯২ একর। যেখানে ৩০ হাজার পোশাক শ্রমিক কাজ করে। বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান ইয়াংওয়ান এই ইপিজেড স্থাপনের অনুমোদন পায়। আর ইয়াংওয়ান করপোরেশনের পোশাক, জুতাসহ ২৮টি কারখানায় ২৬ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। কেইপিজেডে একটি ৪০ মেগাওয়াট ছাদ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এর কাজ ২০১৯ সালে শুরু হয়। যার মধ্যে ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে। উৎপাদিত সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহৃত হবে কেইপিজেডে।

বিএনএনিউজ/মনির

Loading


শিরোনাম বিএনএ