38 C
আবহাওয়া
৪:২১ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সেনাপ্রধান নাসিমকে কেন বহিস্কার করেছিলেন রাষ্ট্রপতি বিশ্বাস?

সেনাপ্রধান নাসিমকে কেন বহিস্কার করেছিলেন রাষ্ট্রপতি বিশ্বাস?


।।ইয়াসীন হীরা ।।

২৭ বছর আগে ১৯৯৬ সালের ২০মে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে রাজি না হওয়ায় তৎকালীন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিমকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস অপসারণ করেছিলেন! তার পরিবর্তে সেনাপ্রধান করা হয়েছিল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের ভগ্নিপতি মাহবুবুর রহমানকে।কিন্তু সেনাপ্রধান পরিবর্তন করেও ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেনি বিএনপি। ক্ষমতাসীন হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

রশীদকে বিরোধী দলের প্রধান মানতে পারেনি জে. নাসিম

অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি বঙ্গবন্ধুর স্বঘোষিত খুনি ফারুক রশীদের ফ্রিডম পার্টিকে নিয়ে ভোটারবিহীন প্রহসনমূলক ষষ্ট সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করে।এতে একটি মাত্র আসন পায় ফ্রিডম পাটির কর্নেল (বরখাস্ত)খন্দকার আবদুর রশীদ  (কুমিল্লা-৬)।সংসদের বিরোধী দলের প্রধান করা হয় তাকেই!। এটি তৎকালীন বীরমুক্তিযোদ্ধা সেনাপ্রধান মোহাম্মদ নাসিমসহ স্বাধীনতার স্বপক্ষের সেনা অফিসারগণ মেনে নিতে পারেনি। তারা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন। তখন থেকে সেনাপ্রধান নাসিমকে সন্দেহের চোখে দেখতে থাকেন এবং অবিশ্বাস করেন।

 সামরিক বাহিনীর দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির কাছে গেল যেভাবে

এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধীদলের গণ আন্দোলনের মূখে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে সম্মত হয়। ১১ দিন মেয়াদি ষষ্ট সংসদ বিলুপ্ত করার আগে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ করে যায় বিএনপি সরকার।

ওই সংশোধনীর মাধ্যমে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অর্থাৎ সামরিক বাহিনীর দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয় রাষ্ট্রপতির হাতে। কারণ ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ষষ্ট সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে নির্বাচনে ব্যবহার করতে দেয়নি  সেনাপ্রধান জেনারেল নাসিমসহ উর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা।   বিএনপির কথামতো কাজ না করায় সরকার ধারণা করে যে সেনাবাহিনীকে হয়তো নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে না। সেই চিন্তা থেকেই সুকৌশলে সামরিক বাহিনীর দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির হাতে দিয়ে যায় যাতে রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে সেনা বাহিনীর উপর প্রভাব বিস্তার করা যায়। তখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিএনপি মনোনীত আব্দুর রহমান বিশ্বাস।

এ সংশোধনীর মাধ্যমে সামরিক বাহিনীর ওপর নির্বাহী ক্ষমতাও যে রাষ্ট্রপতির হাতে থাকবে সে বিষয়টি প্রথমে স্পষ্ট ছিল না। সেটি প্রথমে স্পষ্ট হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার শপথ গ্রহণের পর। এটি ছিল সপ্তম সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করার একটি কৌশল!

বেগম খালেদা জিয়া সাবেক বিচারপতি হাবিবুর রহমানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার পর নির্বাচন কমিশন সপ্তম জাতীয় সংসদের তারিখ ঘোষণা করে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন।এ সময় রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিএনপির আব্দুর রহমান বিশ্বাস। ডিজিএফআইয়ে প্রধান ছিলেন মেজর জেনারেল এমএ মতিন।

মির্জা ফখরুলের ভগ্নিপতিকে সেনাপ্রধান!

বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়া সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন হওয়ার জন্য সেনা প্রধান নাসিমের সহযোগিতা চান বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু তিনি এতে রাজি হননি। এতে ক্ষুদ্ধ হন বেগম জিয়া।তিনি সেনা প্রধান নাসিমকে সরিয়ে বিএনপির বর্তমান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের ভগ্নিপতি মাহবুবুর রহমানকে সেনা প্রধান করে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরিকল্পনা করেন। ওই সময় মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান ছিলেন চীফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস)।

বেগম জিয়ার ক্ষমতায় যাওয়ার এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দায়িত্ব দেয়া হয় তৎকালীন ডিজিএফআই প্রধান ছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাসের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং অনুগত হিসেবে পরিচিত মেজর জেনারেল এমএ মতিনকে। যিনি ওয়ান ইলেভেনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি ও সেনা প্রধানের দ্বন্দ্ব  যেই কারণে

১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনমূলক  নির্বাচন এবং বঙ্গবন্ধুর খুনি আব্দুর রশীদকে বিরোধী দলীয় নেতা বানানোর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধ তৈরী হয়। ফলে বেগম জিয়া জেনারেল নাসিমের ওপর আস্থা রাখতে পারছিলেন না।  নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে  ব্যবহার করতে গভীররাতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত করা হয়। এতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাস এবং সেনাপ্রধান লে. জেনারেল আবু সালেহ মোহাম্মাদ নাসিমের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরী হয়। তার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটে ১৮ মে রাষ্ট্রপতির আদেশে সেনাপ্রধান জেনারেল নাসিমের অনুগত দুজন শীর্ষস্থানীয় সেনাকর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর মধ্য দিয়ে।

রাষ্ট্রপতি সেনাপ্রধানকে  ত্রয়োদশ সংশোধনী পড়তে বলেন!

১৯৯৬ সালের ১৮ মে রাষ্ট্রপতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রপতির আদেশে বাধ্যতামূলক অবসর পাওয়া দুজন সেনাকর্মকর্তা ছিলেন বগুড়া ক্যান্টনমেন্টের জিওসি মেজর জেনারেল হেলাল মোর্শেদ খান এবং তৎকালীন বিডিআরের উপ-মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিরন হামিদুর রহমান।

এ সময় সেনাপ্রধান ছিলেন টাঙ্গাইলের কালিহাতি। তিনি সন্ধ্যায় ফিরে আসার পর রাষ্ট্রপতির আদেশের কপি পান। সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করার আগে সেনা প্রধানের পরামর্শ নেয়া হয়। এতে ক্ষুদ্ধ হন সেনা প্রধান জেনারেল নাসিম।তিনি ১৯ মে রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাসকে ফোন করে দেখা করতে চান। রাষ্ট্রপতি ২০মে তাকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেন। এর মধ্যে সেনা প্রধানকে বহিস্কার করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রাখেন রাষ্ট্রপতি। ২০মে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক কালে সেনা প্রধান জানতে চান তার পরামর্শ ছাড়া কীভাবে দুই সিনিয়র অফিসারকে বরখাস্ত করা হয়েছে? রাষ্ট্রপতি তাঁকে ত্রয়োদশ সংশোধনী ভাল করে পড়তে বলেন। এই নিয়ে বেশ তর্ক হয়।

কাকরাইলে মোশের্দ খানের  গেস্ট হাউজে খালেদা জিয়া!

রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাসের সঙ্গে যখন বঙ্গবভনে সেনাপ্রধান মোহাম্মদ নাসিম দেখা করতে  যান তখন কাকরাইলস্থ বিএনপি নেতা মোশের্দ খানের গেস্ট হাউজে অবস্থান নেন বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়া এবং মনিটরিং করেন। বেগম খালেদা জিয়া নীল নকশা অনুযায়ি সেনা প্রধান জেনারেল নাসিমকে অপসরণ করে তার স্থানে মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমানকে দায়িত্ব দেয়ার ব্যবস্থা নিতে বলেন রাষ্ট্রপতিকে। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বের হয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছিল সেনাপ্রধান নাসিম।গুলিস্থান আসার পর জানতে পারেন তিনি আর সেনাপ্রধান নেই! বাংলাদেশ টেলিভিশনে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়।

 বিটিভি ও রেডিও স্টেশনের দখল!

লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাসের দুইজন সেনা কর্মকর্তাকে অবসরের আদেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন। তিনি তার অনুগত সৈন্যদের সংগঠিত করে। এ অভিযোগে রাষ্ট্রপতির অভিযোগে নাসিমকে বরখাস্ত করার পরে নাসিমকে সরকারের অনুগত সৈন্যরা তাকে গৃহবন্দি করে এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। সরকারের অনুগত সৈনিকরা রাজধানী ঢাকার দিকে যাওয়ার রাস্তাও অবরোধ করে রাখে কারণ তারা জেনারেল নাসিমের অনুগত সৈন্য আনতে ব্যবহৃত হতে পারে। রাষ্ট্রপতি বিশ্বাসের অনুগত সৈন্যরা বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং রেডিও স্টেশনের দখল নেয়। লে. জেনারেল নাসিমকে মিলিটারি পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে যায় এবং অফিসার মেসে আটক করে রাখে ।

সাভার সেনানিবাস  ছিল বিশ্বাসের অনুগত!

বগুড়া সেনানিবাস এবং ময়মনসিংহ সেনানিবাসের সৈন্যরা জেনারেল নাসিমকে সমর্থন করেছিলেন। ময়মনসিংহ সেনানিবাসের সৈন্যরা ঢাকায় যাওয়ার চেষ্টা করলেও  জে. নাসিমকে আটক করার খবরের পর তাদের ঘাঁটিতে ফিরে যায়। যমুনা নদী পার হতে না পারায় বগুড়া সেনানিবাস থেকে সৈন্যরা ঢাকায় পৌঁছাতে পারেনি। যমুনা নদীর অপর প্রান্তটি সাভার সেনানিবাসের সেনাবাহিনী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়েছিল যারা রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাসের অনুগত ছিল। সেকারণে সেনাপ্রধান রাষ্ট্রপতি ভবন ঘেরাও করার যে পরিকল্পনা করে তা ব্যর্থ হয়।

জেনারেল নাসিমসহ ৭ সেনা অফিসার আটক!

তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাস এবং সেনাপ্রধান জেনারেল নাসিমের মধ্যে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জেনারেল নাসিমসহ ৭ জন উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ওই মাসের ২৬ তারিখ তদন্ত আদালত গঠন করে ১৫ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়। প্রতিবেদন ৮ জুন ১২ দিন চলা তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয় সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পাওয়া জেনারেল মাহবুবুর রহমানের কাছে।

তদন্ত আদালতের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সাত জনকে চাকরিচ্যুত করা হয় এবং অন্য আট জনকে দেওয়া হয় বাধ্যতামূলক অবসর। চাকরিচ্যুত সাত কর্মকর্তা ছিলেন, লে. জেনারেল আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম বীর বিক্রম, মেজর জেনারেল আয়েনউদ্দিন বীর প্রতীক, মেজর জেনারেল হেলাল মোর্শেদ খান বীর বিক্রম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু বকর বীর প্রতীক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফজলুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিল্লুর রহমান এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শফি মাহমুদ।

বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয় মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক (বর্তমানে কল্যাণ পার্টির কর্ণধার), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিরন হামিদুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবিদুর রেজা খান, মেজর জেনারেল এজাজ আহমেদ চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজুল হক, লে. কর্নেল আনিসুল হক মৃধা, মেজর সৈয়দ মাহমুদ হাসান এবং মেজর জেনারেল গোলাম কাদেরকে।

ডিজিএফআই প্রধান মে. জে মতিনের ভূমিকা কী ছিল?

লে. জেনারেল নাসিম এবং তার অনুগত সেনা কর্মকর্তাদের দাবি, তাদের সকল প্রচেষ্টা ছিল বাহিনীর ওপর রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাসের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ এবং বাহিনীর চেইন অব কমান্ড রক্ষা করা।

রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাসের সঙ্গে তখন সরাসরি যুক্ত ছিলেন ডিজিএফআই’র তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এমএ মতিন, ৯ম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল ইমামুজ্জামান, মেজর জেনারেল সুবিদ আলি ভুঁইয়া, ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুর রহিম এবং ৪৬ পদাতিক ডিভিশনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুস সালাম।

বেগম জিয়া ক্ষমতা নিতে বলেছিলেন জে. নাসিমকে!

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ষষ্ট সংসদ নির্বাচনের পর উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তৎকালীন সেনা প্রধান জেনারেল নাসিমকে ক্ষমতা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু জেনারেল নাসিম তা প্রত্যাখান করেন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম এর লেখা ‘আমি জেনারেল নাসিম বলছি’ বইয়ে তার উল্লেখ রয়েছে। তবে তৎকালীন সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই মহাপরিচালকের দায়িত্বে মেজর জেনারেলএমএ মতিন বলেছেন, ১৯৯৬ সালের ২০ মে সেনা প্রধান জেনারেল নাসিম অভ্যুত্থান চেষ্টা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন বলে দাবি করেন। মেজর জেনারেল মতিনের লেখা ‘আমার দেখা ব্যর্থ সেনা-অভ্যুত্থান ৯৬’ বই-এর বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।

লেখক: বিএনএ নিউজ ২৪ এর নির্বাহী সম্পাদক

Loading


শিরোনাম বিএনএ