বিএনএ, ঢাকা (আদালত প্রতিবেদক): বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যা মামলায় দ্বিতীয় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে মামলাটির সাক্ষ্য দেন মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক কবির আহম্মেদ। এরপর তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।জেরা শেষে দ্বিতীয় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালত ২৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
মামলার ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
উল্লেখ্য, আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচ তলার ১০১১ নম্বর কক্ষে।ফেইসবুকে পোস্টের জের ধরে গত বছর ৬ অক্টোবর একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে তাকে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করে বুয়েট ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী।রাত ৩টার দিকে হল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় ১৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন তার বাবা বরকতুল্লাহ।একই বছরের ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি
পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।এই বছরের ২১ জানুয়ারি এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত।
আসামিদের মধ্যে ২২ জন কারাগারে ও তিন জন পলাতক রয়েছে।
কারাগারে থাকা ২২ আসামি হলেন-মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।
মামলার তিন পলাতক আসামি হলেন-মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ।
বিএনএ নিউজ/এসবি,ওজি