32 C
আবহাওয়া
২:৪৫ অপরাহ্ণ - সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
Bnanews24.com
Home » রাজধানীর বাসা থেকে বাবা-মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর বাসা থেকে বাবা-মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর বাসা থেকে বাবা-মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার

বিএনএ,ঢাকা: রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে বাবা-মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের আরেক মেয়ে মেহজাবিন আক্তার মুনকে জিজ্ঞাসাবাদ জন্য আটক করছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ধারণা করছে, পারিবারিক কলহের জেরে মুন পরিবারের সবাইকে কৌশলে বিষাক্ত কিছু পান করিয়ে হত্যা করেছেন।

শনিবার (১৯ জুন) সকালে কদমতলী মুরাপুরের ২৮ নম্বর রজ্জব আলী সরদার রোডের পাঁচ তলা বাসার দ্বিতীয় তলা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। মুন নিজেই পুলিশকে তাদের মৃত্যুর খবর দেয়।

নিহতরা হলেন, মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী ইসলাম (৪০) ও মেয়ে জান্নাতুল (২০)। এছাড়া সংকটাপন্ন অবস্থায় মেহজাবিন মুনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ও তাদের শিশু সন্তানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে শফিকুলকে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে তাদের শিশুসন্তান আশঙ্কামুক্ত রয়েছে, তাকে ঢামেকের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, মরদেহগুলো হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বিষাক্ত কিছু প্রয়োগের আলামত পাওয়া গেছে। আলামতগুলো পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করেছে পুলিশ। মরদেহগুলো সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কদমতলী মুরাদনগর এলাকায় একটি বাসায় মাসুদ রানা তার স্ত্রী ও এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন। অপর মেয়ে বিবাহিত মুন বাগানবাড়িতে স্বামীর বাসায় বসবাস করতেন।

পুলিশ জানান, নিহত মৌসুমী ইসলাম উচ্চবিত্তদের মেয়ে সাপ্লাই দিতেন। তার মেয়ে মুন ছিলেন এক নেতার বেডপার্টনার। মা-মেয়ের মধ্যে দেহব্যবসা নিয়ে ঝামেলা হয়। এর রেশ ধরে মুন পরিকল্পিতভাবে সবাইকে হত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।

জানা গেছে, মুনের মা মৌসুমী সাবেক একজন বিএনপি নেতার পিএস হত্যা মামলার আসামি। মুনের বাবা মাসুদ রানা দীর্ঘদিন দেশের বাইরে ছিলেন। তিনি স্ত্রী-মেয়ের ব্যবসার বিষয় জানতেন।

অসুস্থ্য শফিকুল ইসলাম জানান, তাদের বাসা কদমতলির বাগানবাড়ি এলাকায়। শুক্রবার (১৮ জুন) রাত ৯টার দিকে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি যান। রাতে মেহজাবিনতাদের সবাইকে নুডুলসসহ অনেক কিছু খেতে দেয়। বাসার সবাই খেয়েছে, কিন্তু পরে কি হয়েছে এ বিষয়ে তার কিছুই স্পষ্ট মনে নেই। স্ত্রী মুনের সঙ্গে গত তিন মাস ধরে তার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিলো না। মুনের সঙ্গে তার বাবা-মায়েরও সম্পর্ক ভালো ছিল না বলে জানান শফিকুল।

কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর বলেন, এ ঘটনায় পরিবারের এক মেয়ে মেহজাবিন সবাইকে বিষাক্ত কিছু পান করিয়ে হত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পারিবারিক কলহের জেরে তিনি এমনটি করতে পারেন। মুনকে আটক করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাকে এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, ধারণা করা হচ্ছে মেহজাবিন মুন পরিবারের সবাইকে খাবারের সঙ্গে বিষপান করিয়ে হত্যা করেছেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিএনএনিউজ/মনির

Total Viewed and Shared : 131 


শিরোনাম বিএনএ