30 C
আবহাওয়া
২:২৯ পূর্বাহ্ণ - মে ১০, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » ১৪ ঘণ্টা পর নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা পর নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা পর নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার

বিএনএ, চট্টগ্রাম: নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামের চকবাজারের কাপাসগোলা এলাকায় হিজলা খালে পড়ে যাওয়া ছয় মাস বয়সী শিশু সেহরিসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে নগরের আসাদগঞ্জের চামড়া গুদাম মোড়ের পার্শ্ববর্তী চাক্তাই খাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে শিশুটির মরদেহ খালে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। আশেপাশে থাকা কয়েকজন যুবক পরে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। এর কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় কোতোয়ালি থানার পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস সহ শিশুটির বাবা এসে মরদেহ গ্রহণ করে।

শিশুটির মরদেহ খাল থেকে উদ্ধার করেন মো. মিজান এবং আব্দুর রহমান। তারা বলেন, সকালে চা খাওয়ার সময় হঠাৎ দেখি খালে একটি শিশুর লাশ। এরপর আমরা নেমে সেটি তুলে আনি। পরে পুলিশসহ ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসে।

শিশুটির পরিবার আসাদগঞ্জ নিবাসী বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয়রা। তার বাবার নাম শহীদ এবং মায়ের নাম সালমা বেগম বলে জানান তারা। ঘটনার সময় আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন চকবাজারের কাপাসগোলা এলাকায়। সেখানে নিঁখোজ হয় শিশুটি।

আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মেহেদি হাসান তুহিন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দুরে চাক্তাই খাল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রবল স্রোতে শিশুটি সেখানে চলে যায়। চসিকসহ নৌবাহিনীর ডুবুরি দল উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।

এর আগে, শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে নগরীর চকবাজার থানার কাপাসগোলার নবাব হোটেলের পাশের হিজলা খালের নালায় ওই শিশু, তার মা ও দাদি অটোরিকশা থেকে নালায় পড়ে যায়। পরে মা ও দাদিকে উদ্ধার করা গেলেও তলিয়ে যায় ৬ মাসের শিশু সেহরিস। এরপর থেকেই শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, আনসার, পুলিশ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কর্মীরা।

জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর রিকশাচালক পালিয়ে যায়। দ্রুত গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে চসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মী এবং ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। নৌ-বাহিনীর ডুবুরি দল রাতভর চেষ্টা চালায়। ভোরে আবার নতুন করে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।

শিশুটির মামা মারূফ জানান, আসাদগঞ্জ থেকে সেহরিসকে নিয়ে তার মা ও দাদি তার (মারূফ) বাসায় বেড়াতে আসছিল। বাড়ির কাছে এসে রাস্তায় পানি থাকায় রিকশা নেয় তারা। কিন্তু নালার পাশে থাকা বাঁশের বেষ্টনী খুলে ফেলার কারণে তারা রিকশা নিয়ে নালায় পড়ে যায়। পরে সেহরিসের মা সালমা ও দাদি আয়েশাকে উদ্ধার করা গেলেও সেহরিস হারিয়ে যায়।

বিএনএনিউজ/ বিএম/শাম্মী

Loading


শিরোনাম বিএনএ