।।আর করিম চৌধুরী।।
বিএনএ ডেস্ক: প্রকৃতিতে এখন হেমন্তকাল। সন্ধ্যায় হিমেল হাওয়া এবং ভোরের হালকা কুয়াশা জানান দিচ্ছে জানান দিচ্ছে শীত আর বেশি দূরে নেই। ফলে শীত নিবারণে পুরোদমে চলছে মানুষের প্রস্তুতি। শীত জেঁকে বসার আগেই লেপ-তোষক তৈরির ধুম লেগেছে। শীতের সময় উষ্ণতার আবেশ পেতে বেশ আগে থেকেই তুলার তৈরি লেপের প্রচলন। অনেকেই তৈরি করছেন নতুন লেপ-তোষক।
ফলে লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। শীতের শুরুতেই ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লেপ তৈরির কাজ চলছে। মালিক-শ্রমিক সবাই লেপ-তোষক তৈরি, সেলাইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আকার ও তুলা ভেদে বিভিন্ন দামে লেপ-তোষক বিক্রি করা হচ্ছে। এ বছর বিভিন্ন কাচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় একেকটি লেপ-তোষক ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারিগররা জানান, আধুনিক যন্ত্রে উৎপাদিত কম্বল, মেট্রেস সহজে পাওয়া যাওয়ায় বর্তমানে লেপ-তোষকের চাহিদা কমে গেছে। চলতি মৌসুমে জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই লেপ-তোষক তৈরিতে খরচ বেড়ে গেছে। একটি লেপ-তোষক বিক্রি করে তাদের ২শ থেকে ৩শ টাকা লাভ হয়। লাভ কম হলেও কাজে ব্যস্ত থাকায় তারা এখন খুশি।
তারা বলেন, সব কিছুর দাম বাড়লেও তাদের দাম বাড়েনি। কাপড় ও তুলার মান বুঝেই লেপ-তোষকের দাম নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে ৪ থেকে ৫ হাত লেপের দাম পড়ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। আর তোষক তৈরিতে দাম পড়ছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। এবার প্রতিগজ কাপড়ে ১০ থেকে পনের টাকা দাম বেড়েছে। তুলায় বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। গার্মেন্টের সাদা ঝুট, ফোমের কাটা অংশ সবকিছুই বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এ বছর শীতের তীব্রতা বাড়লে লেপ-তোষকের চাহিদা খানিকটা বাড়তে পারে বলে জানান কারিগররা।
ক্রেতারা জানিয়েছেন, শীত বাড়তে শুরু করেছে। তাই আগে ভাগেই লেপ তৈরি করতে এসেছেন। অন্য বছরগুলোর তুলনায় এ বছর দামটা একটু বেশি বলে জানান তারা।
জুনায়েদ হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, দুই বছর আগে একটি লেপ তৈরি করেছিলেন তিনি। সেটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সে জন্য নতুন করে লেপ তৈরি করতে এসেছে। কিন্তু কারিগররা দাম অনেক বেশি বলছেন। ৫ হাতের লেপের দাম বলছে ১ হাজার টাকা। দুই বছর আগে এটির দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা ছিলো বলে জানান তিনি।
বিএনএনিউজ
Total Viewed and Shared : 111